দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিসরের রফতানির তালিকায় এবার যোগ হতে চলেছে কুকুর-বিড়াল! দেশটির রাস্তায় কুকুর-বিড়ালের সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মিসর মূলত বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়াল রফতানি করবে। সাম্প্রতিক সময় দেশটির রাস্তায় কুকুর-বিড়ালের সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার কারণে মিসর সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
জানা যায়, সম্প্রতি দেশটির বহু নাগরিক আবেদন জানিয়েছেন রাস্তার এসব কুকুর-বিড়ালের বিরক্ত থেকে বাঁচানোর জন্য। আর সে লক্ষ্যেই মিসরীয় সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তবে সরকারের এমন একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন মরুভূমির মেসিখ্যাত দেশটির জনপ্রিয় ফুটবল তারকা মোহামেদ সালাহসহ দেশটির প্রাণী অধিকার কর্মীরা।
দেশটির জনপ্রিয় ফুটবল তারকা মোহামেদ সালাহসহ দেশটির প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকারকে।
মোহামেদ সালাহর মতে, মানুষ না হোক প্রাণিদের অধিকার কোনোভাবেই সরকার লঙ্ঘন করতে পারেন না। নিজের পোষা দুটো সিয়ামিজ বিড়ালের ছবি টুইটারে পোস্ট করে এমন কথা বলেছেন মোহামেদ সালাহ।
‘নো টু অ্যানিমেল রাইটস ভায়োলেশন’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সালাহ টুইটে লিখেছেন যে, কুকুর-বিড়াল কোথাও রফতানি করা যাবে না। এটা কখনও হয় না- হতেও পারে না।
আবার অনেকেই সালাহর বিপক্ষেও রিটুইট করেছেন। তারা বলেছেন যে, আগে মানবাধিকার, তারপর প্রাণী অধিকারের প্রসঙ্গ আসবে।
তবে এই বিষয়ে মিসরের কৃষি ও পশু মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়েছে, নাগরিক জীবন নিরাপদ রাখতে বেওয়ারিশ পশুদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতেই মিসর সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের চাওয়াকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
কিন্তু অন্য উপায় থেকে রাস্তার প্রায় ৪ হাজার কুকুর-বিড়াল বিদেশে রফতানি করাটাই সর্বত্তোম পন্থা বলে দাবি করেছেন মিসর সরকার।
এসব বেওয়ারিশ পশুর জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন করছিল সচেতন জনগণ। এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।
মিসরের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২ হাজার ৪০০ বিড়াল এবং ১ হাজার ৬০০ কুকুরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং টিকা প্রক্রিয়াকরণ করার পরই তা রফতানি করা হবে।
তবে কোন কোন দেশে এবং কবে এসব প্রাণীদের রফতানি করা হবে, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য, লিভারপুল স্ট্রাইকার মোহামেদ সালাহ অভিযোগ করে বলেছেন, মিসরের বেওয়ারিশ এইসব কুকুর-বিড়ালকে অন্য দেশে খাদ্য হিসাবেই পাঠানো হচ্ছে। যা কখনও হতে পারে না।