ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পর্যটনের সম্ভাবনা আমরা অনেক স্থানেই দেখেছি। সেটি কখনও সমুদ্র সৈকতে বা কখনও পাহাড় পর্বত বা কোন হাজার বছরের পুরনো কোন দর্শনীয় স্থান। কিন্তু এবার একেবারেই ব্যতিক্রম পর্যটনের সম্ভাবনার কথা শোনা গেলো তা হলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে মহাশূন্যে! এই মহাশূন্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হয়তো অনেকের আছে। কিন্তু সেজন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তারপরও এ ধরনের আগ্রহী পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে মহাশূন্য ভ্রমণ বাণিজ্যিকভাবে একটি লাভবান খাত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, পর্যটকদের এ ইচ্ছা পূরণের জন্য কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যে যান তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ভার্জিন গ্যালাকটিক। ব্রিটিশ বিলিওনেয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্রুপের একটি কোম্পানি এটি। তারা ‘স্পেসশিপ টু’ নামের একটি যান তৈরি করছে। এ বছরের মধ্যেই এটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর আগামী বছর ২০১৩ থেকে পর্যটকদের মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভার্জিন গ্যালাকটিক। মহাশূন্যে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তাদের কাছে প্রায় ৫০০ জন আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। আর এর জন্য একেক জন পর্যটককে খরচ করতে হবে ২ লাখ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। একসঙ্গে ছয়জন পর্যটকসহ মোট আটজন নিয়ে মহাশূন্যে যাবে স্পেসশিপ টু।
ভার্জিন গ্যালাকটিক ছাড়াও জেকোর অ্যারোস্পেস নামের আরেকটি কোম্পানি ‘লিংক্স’ নামের একটি দুই আসনের রকেট বানানোর পরিকল্পনা করছে। এ রকেটে অনেক কম টাকায় মহাশূন্য যাওয়া যাবে। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ লাখ টাকা।
নাসা’র এক সাবেক কর্মকর্তা অ্যালান স্টার্ন সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মহাশূন্যে পর্যটন বিষয়টি দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। যদিও এখনও মহাকাশে যাতায়াত বিষয়টি অনেক খরচের ব্যাপার। তাই অনেক দেশ চাইলেও এ নিয়ে গবেষণা করতে পারছে না। তবে ধীরে ধীরে এ খরচ কমে আসছে। কেননা বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এর ফলে এখন থেকে অন্যান্য দেশও মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে এবং সেখানে বিজ্ঞানী পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। দেখা যাক মহাশূন্যে ভ্রমণ পিপাসুরা এবার কতটা আগ্রহী হন।
-ওয়েব নিউজ অবলম্বনে