দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জানুয়ারী মাস এলে নানা নতুন খবর পাওয়া যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার সংবাদ মাধ্যমের খবর হলো, ‘নেকড়ে চাঁদ’ দেখা যাবে এই জানুয়ারিতে! মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র উদ্বৃতি দিয়ে সিএনএন এই তথ্য দিয়েছে।
জানুয়ারী মাস এলে নানা নতুন খবর পাওয়া যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার সংবাদ মাধ্যমের খবর হলো, ‘নেকড়ে চাঁদ’ দেখা যাবে এই জানুয়ারিতে! মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র উদ্বৃতি দিয়ে সিএনএন এই তথ্য দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদিকালের বাসিন্দাদের কাছে বছরের প্রথম সুপারমুনটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ নামেই পরিচিত ছিল। ওই পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় পৃথিবীটা নাকি এতোটাই ভেসে যায় যে, নেকড়েরা ডেরা হতে বেরিয়ে আসে এবং ডাকতে শুরু করে!
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র উদ্বৃতি দিয়ে সিএনএন এক খবরে বলেছে, গত ৩ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের জন্য এই দিনটি হতে চলেছে অন্যরকম এক আনন্দের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্য মতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব নিকটে চলে আসে, তখনই এই সুপারমুন দেখা দেয়। এই সময় পৃথিবী হতে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখা যায়। তখন এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
এই সুপার মুনের রং কিছুটা লালচে হওয়ার কারণে চেহারাতেও কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাবে। ইস্টার্ণ টাইম রাত ১২ টা ১২ মিনিটে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও আফ্রিকা ও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল হতে এই সুপার মুন বা যাকে বলা হচ্ছে ‘নেকড়ে চাঁদ’ দেখা যাবে। এর বাইরেও জ্যোতির্বিজ্ঞানে আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে।
২০১৯ সালের ৬ মে পৃথিবীর কোনো কোনো অংশ হতে উল্কাবৃষ্টিও দেখা যাবে। এ বছর ২ জুলাই পূর্ণ সূর্য গ্রহণও হবে। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার লোকজন পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে। ইস্টার্ণ টাইম দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট হতে বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অঞ্চল ভেদে গ্রহণ শুরু এবং শেষ হবে। এ ছাড়াও এ বছর ১৬ জুলাই আংশিক চন্দ্রগ্রহণও হবে। তবে এই আংশিক চন্দ্রগ্রহণটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাদে বাকি অঞ্চলগুলো হতে দেখা যাবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের খবরে।