দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা। ঘর থেকে বের হলেই দূষণের কবলে পড়তে হয় সকলকে। এমন এক পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাস্ক আনলো শাওমি!
আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা। ঘর থেকে বের হলেই দূষণের কবলে পড়তে হয় সকলকে। এমন এক পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাস্ক আনলো শাওমি!
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই বায়ু দূষণের হাত থেকে নিজেদের ফুসফুসকে কীভাবে রক্ষা করবেন শহরবাসী, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার যেনো শেষ নেই। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের গবেষণা করা হয়েছে এই বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আগে যা ছিলো এখনও তাই রয়ে গেছে।
তবে এইসব নানা উদ্যোগের মধ্যে সমস্যা সমাধানে আশার আলো দেখালো মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমি। মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে তারা নিয়ে এসেছে অ্যান্টি পলিউশন মাস্ক, যা বায়ু দূষণের হাত হতে রক্ষা করবে বলে দাবি ওই সংস্থাটির।
নতুন বছরের শুরুতেই শাওমি এই অ্যান্টি পলিউশন মাস্কের কথা ঘোষণা করে। তাদের একটি প্যাকেটে থাকবে দু’টি মাস্ক। তার দাম নির্ধারিত করা হয়েছে মাত্র ২৪৯ টাকা। একমাত্র শাওমির অনলাইন স্টোরেই এই নতুন মাস্কটি কিনতে পাওয়া যাবে বলে ওই সংস্থার পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।
শাওমির এই অ্যান্টি পলিউশন মাস্কটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমআই এয়ারপপ পিএম ২.৫’। নতুন এই মাস্কটি ০.৩ মাইক্রনের আকারের কণাও রুখে দিতে সক্ষম। শাওমির দাবি হলো, তাদের এই মাস্কটির কার্যকারিতা ৯৯.৯৭ শতাংশ।
শাওমির এই মাস্কে ৪টি স্তরে ফিলট্রেশন হবে। এই মাস্কের ওজন মাত্র ৩২.২ গ্রাম। শুধুমাত্র কালো রঙের মাস্কই পাওয়া যাবে বলে শাওমির পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।
শাওমির এই অ্যান্টি পলিউশন মাস্ক ১৫ ঘণ্টার মতো ব্যবহার করা যাবে। ধরা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তি দু’ঘণ্টা ব্যবহার করবে শাওমির এই মাস্কটি। সেই হিসাবে শাওমির এই মাস্কের জন্য প্রতিদিন খরচ হবে গড় মাত্র ১৭ টাকা।
উল্লেখ্য, শাওমি মূলত একটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে শাওমির স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তাছাড়া শাওমির স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও ক্যামেরার কোয়ালিটির কারণে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।