দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীময় এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেগুলো সত্যিই আজব গ্রাম। তবে এবার এমন এক গ্রামের খবর পাওয়া গেছে যে আজব গ্রামের ব্যক্তিদের নামও নাকি আজব!
এটি ভারতের রাজস্থানের ছোট্ট একটি গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রী–রাষ্ট্রপতিও রয়েছেন। কংগ্রেসও আছে। সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কাও রয়েছেন, আইজি আছেন, কালেক্টরও আছেন। একটা গ্রামে এমনসব নক্ষত্র সমাবেশ! ঘাবড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
তবে এগুলো হলো আসলে নাম। কারও নাম প্রধানমন্ত্রী, আমার কারও নাম রাষ্ট্রপতি। কারও নাম হাইকোর্ট, আবার কারও নাম কংগ্রেস। এভাবেই নাম রাখতে অভ্যস্থ সেই গ্রামের মানুষগুলো। খবর সংবাদ মাধ্যমের।
ভারতের রাজস্থানের বুন্দি জেলা সদর হতে ১০ কিলোমিটার দূরেই রামনগর নামে এই গ্রাম। সেখানে প্রায় ৫০০ লোকের বসবাস। শিক্ষায় এবং অর্থনীতিতে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা একটি গ্রাম। তবে নামের জন্যই শিরোনামে উঠে এসেছে এই গ্রামটি। যে যখন বাইরে যান, যা ভালো লাগে, তাই দিয়েই নামকরণ করে দেন তারা। কে বলেছে যে, প্রথাগত নামই রাখতে হবে?
তাদের প্রশ্ন হলো কোন সংবিধানে বলা রয়েছে যে কারও নাম প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রাখা যাবে না? যেমন এক শিশু জন্ম নেওয়ার ঠিক পূর্বেই তার দাদু হাইকোর্ট হতে জামিন পান। ফিরে এসে খুশি হয়ে নাতির নাম রেখলেন হাইকোর্ট!
আর তখন সেই থেকেই নাতির নাম হয়ে গেলো হাইকোর্ট। এক ব্যক্তি ইন্দিরা গান্ধীকে ভালোবাসতেন। তাই ছেলের নাম রেখে দিলেন কংগ্রেস। তারপর থেকে ওই পরিবারে যারা জন্মায়, কারও নাম রাখা হয় সোনিয়া, কারও নাম রাখা হয় রাহুল, আবার কারও নাম রাখা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা।
এর ঠিক পাশের বরগনি, হনুমন্তপুরার অবস্থা আরও শোচনীয়। এখানে বানজারা সম্প্রদায়ের বসবাস। তারা আবার ছেলে মেয়েদের নাম রাখেন মোবাইলের নাম দিয়ে। কারও নাম হলো নোকিয়া, তো কারও নাম স্যামসাং। শুধু খান্ত হয়নি তারা, তারা নাম রেখেছে অ্যান্ড্রয়েড, সিম কার্ড, মিসড কল–এ রকম আরও আজব আবজ নাম। কাছেপিঠেই রয়েছে আরেকটি গ্রাম যার নাম আর্নিয়া। এখানে রয়েছে নানা মিস্টির সম্ভার। অর্থাৎ নাম রাখা হয়েছে মিষ্টি সঙ্গে মিলিয়ে যেমন- জিলেপি, মিঠাই, নামকিন, রসগোল্লা, চমচম ইত্যাদি! সব মিলিয়ে এক আজব গ্রামের ব্যক্তিদের আজব আজব নাম!