দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এখনকার এই আমলেও নাকি মানুষ ভূতের ভয় করে! এবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে যে, এমন এক পেশা যে পেশার নারীরা বেশি ‘ভূত’ দেখেন!
সত্যিই এখনকার এই আমলেও নাকি মানুষ ভূতের ভয় করে! এবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে যে, এমন এক পেশা যে পেশার নারীরা বেশি ‘ভূত’ দেখেন! এমন কথা কী কখনও ভাবা যায়? নাকি আপনি এখনকার এই আধুনিক যুগেও ভূতে বিশ্বাস করেন? এমন অসম্ভব একটি বিষয় উঠে এসেছে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। আবার এই তথ্য জানার আগ্রহও মানুষের যেনো কমতি নেই। তারা ভূতের বিষয়টি আবার জানতেও চান!
পুরুষের চাইতেও নারীরা অনেক বেশি মাত্রায় অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত (অর্থাৎ ভূত দেখেন) হন অতিলৌকিক তত্ত্বে বিশ্বাসীরা এ কথা বলে থাকেন। এটা হয়তো আপনার কাছে মনে হতে পারে এটি কথার কথা। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এক বিশেষ পেশায় নিযুক্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি ভৌতিক অভিজ্ঞতা লাভ (‘ভূত’ দেখেন) করেন। খবরে বলা হয়েছে যে, সেই পেশাটিতে আবার নারীরাই অধিক পরিমাণে যুক্ত!
সেটি আসলে কোন পেশা? বলা হয়েছে, নার্সিং পেশায় যুক্ত নারীরাই নাকি সবথেকে বেশি ভৌতিক অভিজ্ঞতা (অর্থাৎ ভূত দেখেন) প্রাপ্ত হন বলে এক সমীক্ষা বেরিয়ে এসেছে। এই জার্নালটি বিজ্ঞান বিষয়ক হলেও অতিপ্রকৃত বিষয়েও নিয়মিত চর্চা চালানো হয়।
সমীক্ষাটি বলেছে, রোগীর মৃত্যুর সময় নার্সরাই সবথেকে বেশি কাছে থাকেন। কোনো ব্যক্তির মৃত্যু-মুহূর্তে আর কেও না থাকলেও নার্সরা থাকেন সেখানে। সেই কারণে সম্ভবত তারা এমন সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, যা বাস্তব অর্থে যার ব্যাখ্যা পাওয়া সত্যিই দুরুহ ব্যাপার।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই সমীক্ষাটি চালানো হয়ছিল আর্জেন্টিনায় নার্স হিসেবে কর্মরত অবস্থায় নারীদের মধ্যে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সে দেশের নার্স পেশায় যুক্ত নারীদের ৫৫ শতাংশ নারীই অতিলৌকিক অভিজ্ঞাতার সম্মুখীন হয়েছেন।
আর বেশির ভাগ নার্সই কর্তব্যরত অবস্থায় ভৌতিক অভিজ্ঞতা লাভ করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের ধারণা মতে, হাসপাতালগুলিতে যখন – তখন, যেখানে – সেখানে ভূতের দেখা মেলে। তারা নাকি প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ভূত দেখে থাকেন। এই সমীক্ষায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যা সত্যিই সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।