দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড ইস্যু নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব। ‘সৌদি-আমেরিকা সম্পর্ক অব্যাহত থাকতে পারে না’- এমন মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড ইস্যু নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব। ‘সৌদি-আমেরিকা সম্পর্ক অব্যাহত থাকতে পারে না’- এমন মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানকে কিছু একটা না করা পর্যন্ত সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কোনো মতেই অব্যাহত থাকতে পারে না। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন সিনেটের প্রভাবশালী সদস্য লিন্ডসে গ্রাহাম। রিপাবলিকান দলের এই সিনেটরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে আলোচনার ঠিক একদিন পর রাজধানী আংকারায় গ্রাহাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব এবং আমেরিকার মধ্যেকার সম্পর্ক এগুতে পারে না।’
সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আরও বলেন, সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আপ্রাণ চেষ্টা চালাবেন।
লিন্ডসে গ্রাহাম আরও বলেছেন, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে সৌদি যুবরাজ আন্তর্জাতিক সমস্ত রীতি-নীতি এবং প্রথা লঙ্ঘন করেছেন।
আমেরিকা এই পর্যন্ত সৌদি আরবের ১৭ নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে যুবরাজ সালমানের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে সকলেই বিশ্বাস করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে কিছু কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে এলে নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। মূলত সাংবাদিক জামাল খাশোগি ছিলেন যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে কঠোরতম একজন সমালোচক। যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। যে কারণে নিজের নিরাপত্তার কারণে সৌদি আরব ছাড়তে হয় তাকে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন। তবে সেখানেও তিনি যুবরাজের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন পোষ্টে নিয়মিতভাবে কলাম লিখতেন, যা যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের গাত্রদাহের কারণ ছিলো।