দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রতিযোগী নোবেল একের পর এক মাত করে চলেছেন ওপার বাংলার রিয়েলিটি শো সারেগামাপাতে। এবার জি-বাংলার সারেগামাপাতে নোবেল সকলকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন!
বাংলাদেশের প্রতিযোগী নোবেল একের পর এক মাত করে চলেছেন ওপার বাংলার রিয়েলিটি শো সারেগামাপাতে। এবার জি-বাংলার সারেগামাপাতে নোবেল সকলকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন! গতকাল (শনিবার) রাতের এপিসোডে বাংলাদেশের প্রতিযোগী মাঈনুল আহসান নোবেল মায়ের গান গেয়ে উপস্থিত বিচারক-উপস্থাপকসহ সকলকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন। কেঁদেছেন অনেক দর্শকও।
অনুষ্ঠানে জেমস্ এর সেই গান- কোথায় আছো কেমন আছো মা… গান গেয়ে এমন এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গানের সবাই বিশেষ করে সারেগামাপা অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় উপস্থাপক বিশু দাস গুপ্তের চোখ দিয়ে পানি বের হতে দেখা যায়। শুধু উপস্থাপক নয় তিন বিচারক, শ্রীকান্ত, মোনালী ঠাকুন এবং অপর বিচারক শান্তনু এই সময় থমকে যান। তারা যেনো নোবেলকে গোল্ডেন গিটার দিতেও ভুলে যান। পরে অবশ্য গান শেষ হওয়ার পর বিচারকরা বলেন, এমন এক থমথমে পরিবেশে আমরা গোল্ডেন গিটার ইচ্ছে করেই দিইনি, এখন দিয়ে দিচ্ছি।
উপস্থিত সকলের হৃদয়েই যেনো ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছিলো ওই সময়। তবে শুধু উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের হৃদয় ছুঁয়েছেন নোবেন তা নয়, লক্ষ-কোটি দর্শকদের হৃদয়েও হানা দিয়েছিল নোবেলের ওই গান। দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভে ধারণ…. রাতের তারা বলতে পারিস, কোথায় আছে কেমন আছে মা….। গানটির কম্পোজিশনও ছিলো অসাধারণ। তাইতো উপস্থিত সকলেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, আগের সপ্তাহে কাজী নজরুল ইসলামের কারার ওই লৌহ কপাট.. গান গেয়ে নোবেল ব্যাপক সাড়া ফেলেন দর্শকদের মধ্যে। দুই বাংলার দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে নোবেলের ওই গানটি। ইতিপূর্বে বাবার গান গেয়েও উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের তাক লাগিয়ে দেন মাঈনুল আহসান নোবেল। সেই সময় নোবেলের সঙ্গে গান গাওয়া ইচ্ছা প্রকাশ করেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী গায়িকা ও অনুষ্ঠানের একজন বিচারক মোনালী ঠাকুন। মোনালী ঠাকুর এই সময় বলেন, আমি নোবেলের সঙ্গে গান গাইতে চাই। নোবেলের গান গাওয়ার ভঙ্গি আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। এই সময় অপর বিচারক ও গীতিকার শান্তনুকে গান লিখে দেওয়ার আবেদন জানান মোনালী ঠাকুর।
দেখুন অসাধারণ গানটি
https://www.youtube.com/watch?v=6PyFWkL8GA8