দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ রাস্তায় হামাগুড়ি দিতে দেখা গেলো চীনের নারী কর্মীদের! কিন্তু কেনো এমন আচরণ? কী কারণেই বা তারা এভাবে হামাগুড়ি দিচ্ছেন?
চীনের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে চলেছে শত শত গাড়ি। তার পাশে ফুটপথের ধার দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছেন কালো কোট পরা বেশ কয়েকজন নারীকর্মী। এর ঠিক সামনেই একটা বড় লাল পতাকা হাতে হাঁটছেন একজন পুরুষ। ওই লাল পতাকায় লেখা বেশ কয়েক জনের নাম।
পিছনে পিছনে গিয়ে ওই হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্যের ভিডিও তুলছেন আরও দু’জন পুরুষ মানুষ। পথচারীরা এমন উদ্ভট দৃশ্য দেখে যেনো থমকে দাঁড়াচ্ছেন। পথচারিদের মধ্যে কেও কেও আবার ব্যতিক্রমি বুঝে ভিডিও তুলে রাখছেন।
সম্প্রতি পূর্ব চীনের এক শহরে দেখা গেছে এমনই এক অদ্ভুত দৃশ্য। একটি অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিষয়টির তথ্য ফাঁস করার পরেই জানা গেছে এর নেপথ্যের প্রকৃত রহস্য বা কারণ।
তাতে জানা যায় যে, টার্গেট পূরণ করতে না পারার কারণে এক চীনা প্রসাধন সংস্থা এমনিভাবেই শাস্তি দিয়েছে সেই প্রসাধনী সংস্থার অধীনস্থ কর্মচারীদের! আর তাই সংস্থার এক পুরুষ কর্মী শাস্তি পাওয়া নারীদের নামের তালিকার ব্যানার নিয়ে সামনে সামনে হাঁটছিলেন।
তাদের পিছনে গোটা ঘটনার ভিডিও তুলছিলেন ওই সংস্থারই আরও দুই পুরুষ কর্মী। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা এমনটি করছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা।
গত কয়েক দিন ধরেই এই আজব শাস্তি নিয়ে চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় চরমভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রসাধন সংস্থার এই অপমানসূচক ব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং যে নারীরা হামাগুড়ি দিয়েছেন তাদের সমালোচনাতেও মুখ খুলেছেন অনেকেই।
কেও কেও লিখেছেন যে, ‘অর্থের জন্য মানুষ নিজের মান-সম্মান বিসর্জন দিয়ে এতোটা নীচে নামতে পারে?’ আবার অনেকেই লিখেছেন, ‘এখনও কেনো তারা চাকরি করছেন ওই সংস্থায়, যারা মানুষকে তার ন্যায্য সম্মানটুকুও দিতে পারে না?’ নিন্দার মুখে পড়ে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ওই সংস্থাটির কার্যক্রম।
চীনের আইন মোতাবেক, কোনও সংস্থাই তার কর্মীদের এমন অপমানসূচক শাস্তি দিতে পারে না। তবে অভিযোগ উঠেছে, বেশির ভাগ সংস্থাই সেইসব নিয়ম-কানুন একেবারেই মানেন না।
গত মাসে কর্মীদের কাজে অসন্তুষ্ট এক সেলুন মালিকও নাকি এমন ধরনের এক শাস্তি দিয়েছিলেন তাদের কর্মীদের। সেই সময় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা যায় যে, কর্মীরা নিজের গালে নিজেরাই ১০০ বার করে চড় মারছেন! তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে কর্মীদের!