শীতে কেন কমলা খাবেন? জেনে নিন তার নানা উপকারিতা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কমলা এমন একটি ফল যা কম বেশি সারা বছর পাওয়া যায়। তবে শীতকালে কমলা বেশি পরিমাণে পাওয়া গেলেও অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। কমলা যেহেতু পানি জাতীয় ফল, তাই অনেকেই মনে করেন শীতকালে কমলা খেলে ঠান্ডা লেগে যাবে। এই ধারণাটি কখনই সঠিক নয়। বরং শীত কালেই বেশি করে কমলা খাওয়া উচিৎ।

চিকৎসা বিজ্ঞান বলছে, প্রতিদিন ২৫ গ্রাম থেকে ২৯ গ্রাম ফাইবার শরীরের পক্ষে একান্ত জরুরী। আর এই ফাইবার যোগান দিতে কমলার তুলনা নেই।

১। ইনসোমনিয়া জাতীয় সমস্যা দূর করে:

শীত কালে রাত বড় হওয়া সত্বেও অনেক সময় নানা কারণে রাতে ঠিক মত ঘুম হয় না। এর ফলে পরবর্তী দিন শরীর থাকে ক্লান্ত এবং দুর্বল। এক্ষেত্রে আপনি কমলা খেতে পারেন। কারণ এই ফলটির শরীরে থাকা ফ্লেবোনয়েড এবং বেশ কিছু নিউরোট্রান্সমিটারকে অ্যাকটিভ করে দেয়। এতে একদিকে যেমন অনিদ্রার সমস্যা দূর করে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং কগনিটিভ পাওয়ার বাড়াতেও সাহায্য করে।

২। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখেঃ

সাধারণত শীতে রক্তচাপ দ্রুত পরিবর্তন হয়। রত্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সোডিয়াম কম খাওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ানো দরকার। কমলা লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩। ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখেঃ

শীতে ত্বকের ঠিক মত চর্চা না করলে ত্বক লাবণ্যতা হারিয়ে ফেলে। এই সমস্যা দূর করতে কমলা লেবু আপনাকে সাহায্য করবে। কমলালেবু খাওয়ার পাশাপাশি একটি কোয়া মুখে ভাল করে ঘষে নিন এবং ১০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলে অলভ অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর লক্ষ্য করুন আপনার ত্বক আগের লাবণ্যতা ফিরে পেয়েছে।

৪। হার্ট সুস্থ থাকেঃ

কমলা লেবুতে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, কোলিন ও ভিটামিন সি রয়েছে। যার সবকটিই হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। সেই সাথে দেহের ভেতরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫। কন্ঠ নালী ঠিক রাখেঃ

শীতের দিনে কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা কাশিতে খুব কষ্ট পেয়ে থাকে। সেই সাথে ঠান্ডা লেগে কন্ঠ ভেঙ্গে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়। কমলার রস আপনার কন্ঠ ভাল করতে সাহায্য করবে।