দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবেক ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম যুক্তরাজ্যে ফেরার বিষয়ে দেশটির সরকারের নিকট দয়া প্রার্থনা করেছেন।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবেক ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম যুক্তরাজ্যে ফেরার বিষয়ে দেশটির সরকারের নিকট দয়া প্রার্থনা করেছেন।
শামীমার প্রত্যাশা, ব্রিটিশ সরকার নাগরিকত্ব বাতিলের মাধ্যমে তার যুক্তরাজ্যে ফেরার পথ বন্ধ করবে না- বরং একটু সহানুভূতির সঙ্গে তার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে তার প্রত্যাশা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স উল্লেখ করেছে যে, শামীমা তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজেকে পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক বলেও জানিয়েছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে সে বলেছিল, ‘আমার মাত্র একটিই নাগরিকত্ব রয়েছে। সেটাও যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমার আর কিছুই থাকবে না।’ নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি জানতে পেরে সে বলেছিলো, এই সিদ্ধান্ত তার ‘হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।’ ‘আমি শকড। এটা আমার এবং আমার ছেলের জন্য অন্যায্য।’
জানা গেছে, শামীমা বেগমসহ সিরিয়ায় যাওয়া ওপর আরও দুই কিশোরীর লক্ষ্য ছিল জিহাদিদের বিয়ে করা ও তারপর সন্তান জন্ম দিয়ে তাদের জিহাদে পাঠানো। সিরিয়ায় শামীমার বিয়ে হয় নেদারল্যান্ডস হতে যাওয়া এক জঙ্গির সঙ্গে। দুইবার গর্ভপাতের শিকার হয়ে শামীমা সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এখন তার ইচ্ছা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার। শরণার্থী শিবিরের প্রতিকূল পরিবেশ তিনি মোটেও সহ্য করতে পারছেন না।
এদিকে তার পরিবার যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, শামীমার সন্তান এই পুরো ঘটনায় কোনোভাবেই দোষী নন। সে একেবারেই নির্দোষ। তাই তাকে যেনো যুক্তরাজ্যের নিরাপদ পরিবেশে বড় হয়ে ওঠার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত তার সন্তানের নাগরিকত্বের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করায় শামীমার বড় বোন রেনু জাভিদকে লেখা চিঠিতে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কি না জানতে চাইলে শামীমা সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি তারা আমার জন্য আরেকটু দয়া দেখাবেন এবং সিদ্ধান্তটির পুনর্বিবেচনা করবেন।’ যে চিন্তা নিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছিলো তা তিনি ত্যাগ করতে পারবেন কিনা প্রশ্ন করলে শামীমা বলেছেন, ‘আমি নিজেকেও পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক।’