দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেটে আর থাকবে না অশ্লীল ভিডিও! এমন কথা শোনার পর দেশের অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন হলে তরুণ সমাজকে বাঁচানো যাবে।
বর্তমান ও নতুন প্রজন্মকে ইন্টারনেটের আপত্তিকর আসক্তি হতে বের করে আনতে ইতিমধ্যেই অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া কিংবা বিপথগামী সাইট বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যে কারণে নিজের সন্তানদের এই বিষাক্ত থাবা থেকে রক্ষা করতে পেরে খুশি হচ্ছেন অনেক পরিবার।
অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া কিংবা বিপথগামী সাইট বন্ধের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এই বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি রয়েছে এমন সব ধরনের সাইট আমরা বন্ধ করে দিতে বদ্ধ পরিকর। আমরা ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, আমার দেশ ইউরোপও না আমেরিকাও না, আমার দেশ বাংলাদেশ। তাই এই দেশের মানুষ সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে যায় না এমন কোনো কিছুকেই আমি রাখতে চাই না।
এসব সাইট বন্ধ করলেও তা আবারও খোলা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোলা হলে আবারও বন্ধ করে দেবো। যতোবার খোলা হবে, ততোবারই বন্ধ করে দেবো। মানুষের জীবন ও মান এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর এসব সাইট বন্ধে কতোটুকু সফল হবো তা আমি জানি না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করে যাবো।
অশ্লীল ভিডিও, ছবি, কনটেন্ট, জুয়া কিংবা বিপথগামী সাইট বন্ধ করে দেওয়ায় খুশি অভিভাবকরাও। এই বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আমার সন্তান তাসিন ১০ শ্রেণিতে ইংরেজি ভার্সনে পড়ালেখা করছে, ছেলে বড় হচ্ছে। সে মোবাইলও ব্যবহার করে। এখন ইন্টারনেট খুবই সহজলভ্য হওয়ায় উঠতি বয়সী এসব সন্তানদের নিয়ে দুচিন্তা আমাদের সব সময় বাড়ে। তাই সরকারের এমন উদ্যোগ আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও বিষয়টি নজরে এসেছে সরকারের। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও অনেক অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অশ্লীল ভিডিও, ছবি, কনটেন্ট, জুয়া কিংবা বিপথগামী সাইট বন্ধ করার উদ্যোগে তারা অনেক খুশি। তাদের মতে, অশ্লীললতা দূরীকরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নজরদারি বাড়ানো দরকার।