দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পিঁপড়া খুব ছোট একটা জীব। অথচ এই ছোট পিঁপড়া নিয়ে অনেক বড় অজানা গল্প রয়েছে, যা আমরা কখনও জানতাম না!
পিঁপড়া শব্দটা শোনা মাত্রই মনের মাঝে ছোট্ট একটা প্রাণির ছবি ভেসে ওঠতে পারে আমাদের মধ্যে। সারাদিন মুখে কিছুনা কিছু নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করা পিঁপড়ার অভ্যাস। বর্ষাকালেও প্রচুর পিঁপড়া দেখা যায়। অনেক লোকই বলে থাকে পিঁপড়া যখন তাদের খাবার নিয়ে একস্থান হতে অন্যস্থানে যায় তখন পুরোদমে বর্ষা শুরু হয়ে যায়। পিঁপড়া সম্পর্কে এমন অনেক মজার এবং চমৎকার তথ্য রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পিঁপড়া সম্পর্কে কিছু মজার মজার তথ্য :
# সারা বিশ্বে পিঁপড়ার প্রায় ১২ হাজার প্রজাতি রয়েছে!
# একজন পিঁপড়া তার শরীরের ওজনের চেয়েও ২০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে সক্ষম!
# পিঁপড়াদেরও একজন রাণী থাকে যার থেকে লক্ষাধিক বাচ্চার জন্ম হয়।
# পিঁপড়ার কোনো কান নেই। তাই মাটির কম্পন হতেই শব্দের ব্যাপারটি বুঝে নেয়।
# পিঁপড়ার লড়াই শুরু হলে তা কতোক্ষণ চলতে পারে ধারণা করুন তো একবার। জানলে সত্যিই অবাক হবেন যে, পিঁপড়ার লড়াই মৃত্যু অবধি চলতে থাকে!
# পিঁপড়ারা সর্বদা একই রেখায় চলতে থাকে। চলার পথে প্রতিটি পিঁপড়াই এক ধরণের তরল পদার্থ (ফেরোমন) নির্গত করে থাকে। যে কারণে পিছনে থাকা পিঁপড়াগুলো সামনের গুলোকে অনুসরণ করতে পারে।
# সাধারণতরাণী পিঁপড়ার পাখা গজায়।
# পিঁপড়ার কোনো ফুসফুস নেই। শরীরে অনেক সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে পিঁপড়া শরীরের ভিতর ও বাইরে অক্সিজেন চলাচল করে!
# সাধারণত পিঁপড়ার জীবনকাল ২৮ বছর হয়ে থাকে। তবে রাণী পিঁপড়া ৩০ বছরেরও অধিক সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে বলে জানা গেছে।
# যখন একটি পিঁপড়া মারা যায় তখন তার শরীর হতে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। যে কারণে অন্য পিঁপড়ারা সহজেই মৃত পিঁপড়া সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যায়।
# নির্গত এই রাসায়নিক পদার্থ যদি অন্য পিঁপড়ার শরীরে লাগে তবে সেই পিঁপড়াও মারা যেতে পারে!
# মানুষ এবং পিঁপড়ার মাঝে একটি স্থানে মিল পাওয়া যায়! তাহলো উভয়েই খাদ্য মজুত করে রাখে।
# পিঁপড়ার শরীরের গঠন এমন যে এটিকে উড়ন্ত উড়োজাহাজ হতে ফেলে দিলেও সামান্যতম ব্যথা পাবে না।
# পিঁপড়ারা কখনই ঘুমায় না।
# পিঁপড়ারা পানির তলদেশে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
# পিঁপড়ার পেট দুটো। এর একটিতে নিজের জন্য খাদ্য জমা রাখে। আর অন্যটিতে অন্যের জন্য!
# আরকএকটি কথা সত্য হলেও বিশ্বাস করা খুবই কঠিন হবে। কথাটি হলো বিশ্বে যতো জনসংখ্যা রয়েছে তাদের ওজন ও সমস্ত পিঁপড়ার ওজন প্রায় সমান হবে!
# ডাইনোসরের সময় থেকে পিঁপড়ারা আজও রয়েছে!
# অধিকাংশ পিঁপড়া লাল এবং কালো রংয়ের হয়ে থাকে। তবে অনেক স্থানেই সবুজ পিঁপড়ারও সন্ধান পাওয়া যায়।
# এক পিঁপড়া অন্য পিঁপড়াকে কামড়ও দিতে পারে। পিঁপড়া ফরমিক এসিড নির্গত করে থাকে। যা শত্রুকে আক্রমণ করতে ব্যবহার করে।
পিঁপড়া ক্ষুদ্র হলেও আমাদের কর্মী হওয়ার অনেক শিক্ষা দেয়। ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবার শিক্ষাও পেতে পারি এই ক্ষুদে প্রাণী পিঁপড়া হতে। পবিত্র কোরআনে একটি সুরার নাম হচ্ছে নমল যার অর্থই হলো পিঁপড়া। বাইবেলেও পরিশ্রমী হওয়ার জন্য পিঁপড়ার কাছে যেতে বলা হয়েছে! সত্যিই ছোট্ট একটি প্রাণিও যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা ভেবে অবাক হতে হয় আমাদেরকে।
This post was last modified on মার্চ ১০, ২০১৯ 5:24 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আরও দু'টি নতুন সিনেমা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুদ্ধি খেলা খেললে ব্রেন আর স্রাফ হয়। তাই এই ধরনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ শরীরে পানির ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার শিশু বেড়ে ওঠার সময় কেবলমাত্র দুধভাত ও শাকসব্জি খাওয়ানোই…