দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিসিবির তাকে অধিনায়ক হিসেবে স্বল্পমেয়াদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেছেন মুশফিকুর রহিম। তার মতে সিদ্ধান্তটি তাকে লক্ষ্য নির্ধারণের কাজে বিপত্তিতে ফেলা ছাড়াও ভবিষ্যত অধিনায়কদেরও ওপর প্রভাব ফেলবে। এর আগে গত বুধবার বিসিবি মুশফিককে এ বছরের শেষ পর্যন্ত মুশফিককে অধিনায়ক পদে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় যার মানে দাঁড়ায় শুধু অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া আগামী নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্যই অধিনায়ক তিনি। এ বছর এটি ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আর কোন আন্তর্জাতিক খেলাই নেই।
মুশফিক বলেছেন, “আমার মনে হয় এটাই একমাত্র ক্রিকেট জাতি যেখানে প্রতি সিরিজের হিসাবে অধিনায়ক ঠিক করা হয়। সত্যি বলতে কি, একজন ক্রিকেটারের জন্য কাজটা খুবই খারাপ। আপনি কতদিনের জন্য অধিনায়ক আছেন সেটা নিশ্চিতভাবে না জানলে আপনার জন্য লক্ষ্য স্থির করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তো একইভাবে, একজন অধিনায়কের জন্যও এভাবে সিরিজ হিসেবে দায়িত্ব চালানোটা কঠিন। আর ব্যাপারটা শুধু আমার ব্যাপারেই খাটে না, যেকোন ভবিষ্যত অধিনায়কের ব্যাপারেও খাটবে। ”
তিনি আরো বলেন, “বোর্ড দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছেনা, সুতরাং আমি দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করি কিনা তা নিয়ে কিছু আসে যায় না। এই পাঁচ মাসে শুধু একটা সিরিজই থাকবে। আমি তাতে অধিনায়ক আর খেলোয়াড় হিসেবে নিজের শতভাগ ঢেলে দেব আর দলের বাকিরাও যেন তাই করে তা নিশ্চিত করব।”
গত মে মাসে জিম্বাবুয়ে সফর শেষে পদত্যাগ করার পর বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আলোচনার মাধ্যমে অধিনায়ক পদে থেকে যেতে রাজি করান মুশফিককে। তবে তা কতদিনের জন্য তা নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।
অবশ্য বোর্ডের সিরিজ ধরে ধরে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা এবারই প্রথম নয়। সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও বোর্ডের এভাবে বারবার একটি সিরিজ ধরে অধিনায়কত্ব দেওয়া নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে যার জেরে ২০১০ সালে তিনি প্রায় পদত্যাগও করে ফেলতে যাচ্ছিলেন। পরে অবশ্য তাকে আরো এক বছরের জন্য অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১১র মাঝামাঝি সাকিবকে সেই পদ থেকে ছাটাইয়ের পর মুশফিককে প্রথমে ওই বছরের দুটি সিরিজের জন্য অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর তাকে ২০১৩র জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হলেও বোর্ড আবার এখন এক সিরিজ ধরে অধিনায়কত্ব দেওয়ার নীতিতে ফিরে গেছে।
মনে করা হচ্ছে যে, নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরও মুশফিককে দায়িত্ব চালিয়ে যেতেই বলা হবে। সাকিবের মত অবশ্য এ নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে যাচ্ছেন না তিনি, “আমি এ (২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব) নিয়ে কখনো বোর্ডের সাথে আলাপ করতে পারব না। বোর্ড যদি আমাকে অধিনায়ক হিসেবে যথেষ্ট ভাল মনে করে, তাহলে তারাই আমাকে জানাতে পারে। তখন সেই দায়িত্ব নেব কিনা সেটা অন্য বিষয়……………বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালর জন্যই অধিনায়কত্ব দীর্ঘমেয়াদে দেওয়া উচিত। নিকট ভবিষ্যতে তাই ঘটবে বলে আশা করি।”