দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগামী ২৬ এপ্রিল ১৬ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি নম্বর নিবন্ধন করা যাবে না- এই নিয়মটি মানা হয়নি অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে। এমন ১৬ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির ওপরে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ২৬ লাখেরও বেশি। এসব পরিচয়পত্রের বিপরীতে থাকা সিমগুলোই বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ২৬ এপ্রিল সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার আগে ১ এপ্রিল থেকেই বেশ কিছু প্রক্রিয়াগত দিক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যায় সংবাদ মাধ্যমের খবরে।
গত সপ্তাহে এই বিষয়টি নিয়ে অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করেছে কমিশন। সেখানেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুসারে, অপারেটরগুলোকে এসব সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হবে। পরে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপারেটরগুলো প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিমের সংখ্যা ১৫টিতে নামিয়ে আনবেন।
এদিকে গ্রাহকরাও চাইলে *১৬০০১# ডায়াল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট পুশ করে জেনে নিতে পাররেন তার নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা আসলে কতো।
২০১৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে সিম নিবন্ধন ও বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন করা হলে তখন এক পরিচয়পত্রের বিরপীতে কতোটি সিম থাকবে সেটির বিষয়ে সে সময় কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
নিবন্ধন ও বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন শেষে সেই সংখ্যা ১৫টি বেধে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায় যে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির ওপরে নিবন্ধন করা সিমের সংখ্যা যোগ করলে তা ৩০ লাখ পেরিয়ে যাবে।