দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডে দুই মসজিদে বর্বরতম হামলার পর নিজেদের ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, যে কোনো উসকানিমূলক লাইভ করলেই ব্লক দেবে।
ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডে দুই মসজিদে বর্বরতম হামলাটির ভিডিও মুছে ফেলাসহ বিভিন্ন পোস্টে সেন্সরের মাধ্যমে আংশিক কিছু নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ফেসবুক। যদিও সেসময় ক্ষতিগ্রস্তদের একটা প্রচণ্ড চাপ বা আহ্বান ছিল ফেসবুকের প্রতি। তবে এবার কোনো দেশের চাপে নয়, নিজেদের তাগিদেই ব্যবহারকারীদের লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা সরাসরি ভিডিও প্রচার করার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেছে, কোনো চাপ পেয়ে নয় বরং হঠাৎ করেই উসকানিমূলক বা বর্বর কোনো কিছু যাতে প্রচার না করা যায়; প্রচারের কারণে সমাজে কোনো রকম অশান্তি যেনো সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই বড় ধরনের প্রযুক্তি জায়ান্টটি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক গণমাধ্যম টেকরাডার।
গণমাধ্যমটি আরও বলেছে, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিমিং পরিচালনা করার ব্যাপারটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে ফেসবুক। যদিও তারা বলছে যে, নিউজিল্যান্ড হামলার পর বৈশ্বিক চাপে পড়ে ফেসবুক এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
বলা হচ্ছে যে, ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং বিধিনিষেধের আওতায় আনতে প্রস্তাবকারীদের মধ্যে সবথেকে অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ফেসবুকের ওপর অস্ট্রেলিয়া সরকারের চাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নি হেরাল্ড খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ইতিমধ্যেই তার প্ল্যাটফর্মের উসকানিমূলক লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের নতুন বিধিনিষেধে কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠকে বসবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারপর প্রযুক্তি জায়ান্টটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে লাইভ স্ট্রিমিং বিধিনিষেধ সম্পর্কে।
তবে ইতিমধ্যেই কয়েকটি সূত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানিয়েছে যে, কোনো ব্যবহারকারী যদি ঘৃণা প্রচার কিংবা উসকানি দেওয়ার জন্য লাইভে আসেন, সেটি যদি ফেসবুক সেন্সরে ধরা পড়ে যায়, তাহলে ওই ব্যবহারকারীর ফেসবুক আইডিতে লাইভ প্রচার একেবারে ব্লক করে দেওয়া হবে। লাইভ দেওয়ার কোনো অপশনই থাকবে না তার।
অপরদিকে প্রচার নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে গুগলসহ সামাজিক গণমাধ্যমগুলোকে জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে যে, উসকে দিতে পারে এমন কোনো কিছু সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে গেলেও, তা ছড়িয়ে পড়ার আগে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে জরিমানা দিতে হবে।