দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগের একটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন সময় খ্রিস্টান চরমপন্থী নেতার কোরআন পুড়িয়ে উল্লাস ও অবমাননার ঘটনায় ডেনমার্কের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগের একটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন সময় খ্রিস্টান চরমপন্থী নেতার কোরআন পুড়িয়ে উল্লাস ও অবমাননার ঘটনায় ডেনমার্কের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
এই ঘটনার পর থেকে ফুঁসে ওঠেছে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়। রাসমুস পালুদান নামক ওই চরমপন্থী ব্যক্তি খ্রিস্টান স্ট্রিম কুরস নামের ফার-রাইট কট্টরপন্থী অভিবাসী ও ইসলামবিদ্বেষী একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান।
তার এই ঘৃণ্য অবমাননার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাতে ও কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ডেনমার্কে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশও পালন করেছে ইতিমধ্যেই। সমাবেশে এই ঘটনার নিন্দা ও দোষি ব্যক্তির শাস্তি দাবি করা হয়।
ইতিপূর্বে গত ২২ মার্চ মুসলমানরা যখন ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদে বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাতে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জুমার নামাজ আদায় করছিলেন, তখনও এই চরমপন্থী খ্রিস্টান জনসম্মুখে কোরআন পুড়িয়ে তা আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে।
পালুদান কোরআন পোড়ানোর সময় তার সমর্থকরা সেই দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ প্রচার করে। এই সময় তারা মুসলমানদের কটাক্ষ করে উল্লাস করলেও পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের কোনো বাধাই দেয়নি।
ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মিসরের গ্যান্ড মুফতি এবং আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শাইখ আহমাদ আত তাইয়্যেব।
বিবৃতিতে কোরআন পোড়ানো প্রসঙ্গে শাইখ আহমাদ আত তাইয়্যেব বলেন, সকল ধর্মগ্রন্থই পবিত্র। বিশ্ববাসীর উচিত এই জাতীয় চরমপন্থা হতে দূরে থাকা। এর মাধ্যমে মূলত অন্যায়ভাবে মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
আগামী জুনে ডেনমার্কের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের জনসমর্থন ধরে রাখতে দেশটির সরকার এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং পবিত্র কোরআনের অবমাননাকারী রাসমুসকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অর্থ সহায়তা দিয়েছে দেশটির সরকার। রাসমুস পালুদান স্ট্রিম কুরস নামের ফার-রাইট কট্টরপন্থী অভিবাসী ও ইসলামবিদ্বেষী একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান।
এদিকে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে হাজার হাজার মুসলমান এবং তরুণ ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র ৫৭ লাখ নাগরিকের দেশ ডেনমার্কের পাঁচ শতাংশই মুসলমান। সেখানে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মুসলমানরা ফুঁসে উঠেছে।