দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানে দুল কিংবা হাতে ঘড়ি পরলেই এড়ানো যাবে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ? গলায় ছোট্ট একটা লকেটে যদি এড়ানো যেতো অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ? তাহলে কেমন হতো? ঠিক এমনই একটি খবর সকলকে অবাক করেছে!
আমেরিকার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা এই বিস্ময়কর ‘‘গর্ভনিরোধক গয়না’’ নিয়েই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। তারাই জানিয়েছেন বিশেষ এই বিশেষ গর্ভনিরোধকের কথা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ কন্ট্রোল রিলিজ’-এ প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গয়না বা অলঙ্কারে, সাজগোজের নানা জিনিসে, যেমন কানের দুল, আঙটি, ঘড়ি ও অন্যান্য গয়নাতে গর্ভনিরোধক হরমোনের বিশেষ বিশেষ উপাদান সংযুক্ত করেছেন।
এই সমস্ত হরমোনের উপাদান থাকবে গয়না কিংবা সাজগোজের জিনিসে। এগুলি চামড়ার সংস্পর্শে এলেই তা শোষিত হয়ে রক্তপ্রবাহে মিশে যাবে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকদের দাবি হলো, কনডম কিংবা ট্যাবলেট নয়, গলার হার বা হাতঘড়ির মধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হবে এই বিশেষ ‘কন্ট্রাসেপ্টিভ হরমোন’ যা গর্ভ নিরোধের কাজ করবে!
পোস্ট ডক্টরাল গবেষক মহম্মদ মোফিদফার, বিজ্ঞানী লরা ও ফারেল, অধ্যাপক মার্ক প্রাউসনিৎজ এই মূল গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
মার্কিন একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে যে, প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গর্ভনিরোধক এই গয়না অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধে যথেষ্ট পরিমাণে হরমোন সরবরাহ করতে পারে।
গর্ভনিরোধক গয়নার এই নতুন কৌশলটির লক্ষ্য হলো, ব্যবহারকারীদের শারীরিক সুস্থতা এবং ডোজের পরিমাণ নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে এর মানকে আরও উন্নততর করা।
মার্ক প্রাউসনিৎস আরও বলেন, ‘‘এই ফার্মাসিউটিকাল অলঙ্কার মূলত একটি নতুন পদ্ধতি। তবে গর্ভনিরোধককে ব্যবহারকারীর কাছে আরও আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় করার জন্য এর ব্যবহারকে সহজতর করতে হবে, এটা মাথায় রেখেই গবেষণার কাজ এগিয়ে চলেছে।’’
বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণার ফলাফল জানতে শূয়োর ও ইঁদুরের উপর এই গয়নার প্রভাব পরীক্ষা চালিয়েছেন। এতে এর সাফল্যও মিলেছে।
এখন পর্যন্ত এই গয়না মানুষের শরীরে কীভাবে কাজ করবে তা জানতে কোনও পরীক্ষা করা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে পরীক্ষা করা যেতে পারে, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মানব দেহে এই পরীক্ষা সফল না হওয়া পর্যন্ত ‘কনট্রাসেপটিভ জুয়েলারি’র মাধ্যমে হরমোন গর্ভধারণ রোধ করতে পারবে কি, পারবে না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা৷