দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন চলছে পবিত্র মাহে রমজান। তার ওপরে পড়ছে অসহ্য গরম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সবাই। গরমে ঘরে-বাইরে হাঁসফাঁস হওয়ার মতো অবস্থা। অতিরিক্ত গরমে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশিরভাগ মানুষের। তবে অন্য সময় যায়ই হোক ইফতারে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পানে বড় বিপদ ঘটতে পারে।
রমজানে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শরবত বানানো হতে শুরু করে খেয়েও থাকি আমরা অনেকেই। তাছাড়া শীত ছাড়া গরমে সারা বছরই ঠাণ্ডা পানি পান করে থাকেন অনেকেই। তবে আপনি জানেন কী? এই ঠাণ্ডা পানি পান করার অভ্যাস আপনার জীবনে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ।
আসুন জেনে মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে যেসব ভয়াবহ বিপদ হতে পারে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
শ্বাসনালীতে সমস্যা হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, খাওয়ার পরে ঠাণ্ডা পানি পান করা মোটেও ঠিক নয়। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি করে থাকে, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
রক্তনালী সংকুচিত হওয়া
প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। যে কারণে হজমের মারাত্মক সমস্যাও হতে পারে।
হজমে সমস্যা হওয়া
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওয়ার্কআউটের পর ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে কুসুম কুসুম গরম পানি পান করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তা না হলে এটিতে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এ ছাড়াও বাইরে হতে ঘরে ফেরার পর বা শরীরচর্চা করার পর ঠাণ্ডা পানি মোটেই পান করা যাবে না। কারণ হলো ঘণ্টাখানেক শরীরচর্চা করার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি বেড়ে যায়। এই সময় ঠাণ্ডা পানি পান করলে হজমের নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে দাঁতে
ঠাণ্ডা পানি পান করলে দাঁতে ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তে পারে। দন্ত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে দাঁতের ভেগাস স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। যে কারণে আমাদের হৃদযন্ত্রের গতি অনেকটাই কমেও যেতে পারে।
সে কারণে যাদের ঠাণ্ডা পানি পানের অভ্যাস রয়েছে তাদের এটি ত্যাগ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তা নাহলে ঘটতে পারে বড় কোনো বিপদ।