দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জামাল উদ্দীন। স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে জামালের সংসার। দু’চোখেই দেখতে পারেন না। চোখে দেখতে না পেলেও স্থানীয় এক মাওলানার নিকট থেকে শুনে শুনেই মুখস্ত করেছেন পবিত্র কোরআন শরীফ!
নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা পোরশার নিতপুর ইউনিয়নের কুলাডাংগা গ্রামের দরিদ্র ইউছুফ আলীর ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে জামাল হলেন দ্বিতীয়।
মসজিদের ঈমাম হিসেবে তিনি চাকরিও করেছেন বেশ কিছুদিন। দৃষ্টি না থাকায় ইমাম পদের চাকরি তার টেকেনি বেশিদিন। চাকরি চলে যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য জমানো টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতেই শুরু করেন পশু পালন।
এতেও সুবিধা না করতে পেরে শুরু করেন বয়লার মুরগীর ব্যবসা। বর্তমানে এই ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলছে জামালের সংসার। জামালের সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে উপরোক্ত তথ্যগুলো জানান।
জামাল আরও জানান, তার বাবার ১৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দুই ছেলেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার বড় ভাই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তার ভাগ্যে আজও জোটেনি কোনো রকম ভাতা। তবে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, আক্ষেপও নেই তাঁর। বরং শরীরে খেটে পরিশ্রম করে রোজগার করতে পছন্দ করেন জামাল।
তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে বোঝা হয়ে থাকতে চান না। নিজে খেটে উপার্জন করা অনেক সম্মানের কাজ বলেই তিনি মনে করেন। এ জন্যই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতিও নিশ্চিত করার আবেদন জানান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চান এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও কোরআন মুখস্ত করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।