দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের ওপর ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতনের এক ভয়ঙ্কর এবং লোমহর্ষক তথ্য প্রকাশ করেছে ২টি মানবাধিকার সংগঠন।
সংগঠন ২টি বলছে যে, ভারত সেখানকার মানুষের ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি নিজেদের কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কৌশল খাটাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বার্তা সংস্থা দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।
সোমবার অ্যাসোসিয়েশন অব পেরেন্টস অব ডিসঅ্যাপিয়ার্ড পারসনস এবং জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি নামে এই ২টি মানবাধিকার সংস্থা এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর বিগত ৩০ বছর ধরে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে দেশটির বাহিনী। নির্যাতনের মাত্রা ও ধরণ প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। শাস্তির পাশাপাশি গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখার মতো লোমহর্ষক ঘটনাও যুক্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু সামরিক বাহিনীই নয়, বেসামরিক অসংখ্য স্বাধীনতাকামী মানুষও এই নির্যাতনের এর শিকার হচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এই নির্যাতনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন জানিয়ে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসারও আহব্বান জানানো হয়।
এ পর্যন্ত ৪৩২ নিখোঁজ কাশ্মীরির ঘটনায় গবেষণা চালিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান ২টি। যার মধ্যে ৪০ জনকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যমতে আরও জানা যায়, ১৯০ বন্দিকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। ৩২৬ বন্দিকে লোহার রড এবং চামড়ার বেল্ট দিয়ে বেদমভাবে মারধর করা হয়েছে। তাছাড়াও ২৪ কাশ্মীরিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়াসহ আরও ১৬৯ বন্দির ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এমনকি এই নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি নারী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী। এই অকথ্য নির্যাতেনর শিকার হয়েছেন ৩০১ জন বন্দি।
তবে বরাবরের মতো এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সরকর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, অভিযোগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এই বিষয়ে সরকার প্রতিক্রিয়া জানাবে।