দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইহুদিবাদী ইসরাইলে শুরু হওয়া দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় নি। অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতি এলাকায় এই দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবানলের আগুন নেভাতে কাজ করছে দেশটির ৪৮০টি অগ্নিনির্বাপক বিমান, সেখানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ২,৫০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী। রবিবার এসব বিমানের সাহায্যে আড়াই লাখ টন পানি মাটিতে ফেলা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
অনেকেই দাবি করেছেন যে, ইসলাম ধর্মের পবিত্র আযানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির উদ্যোগ নেওয়ার পর হতে ইসরাইলে এই ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তজার্তিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রচণ্ড খরা ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চলতি সপ্তাহে অধিকৃত ইসরাইলি ভূখণ্ডে এই ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। দাবানলে সেখানকার আবাসিক এলাকা এবং বনাঞ্চল ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকমের সহায়তা দানের আশ্বাস দিয়েছেন। বন রক্ষা করার প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত কর্মী যোগদান করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হাইফা শহরের লোকজন ইতিমধ্যেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তারা এখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করছে।
অপরদিকে ইহুদীবাদী ওই দেশটির ব্যাপক দাবানল নিয়ন্ত্রণে মিসর এবং চার ইউরোপীয় দেশ বিমান পাঠিয়েছে। শুক্রবার নেতানিয়াহু বলেছেন যে, ভয়াবহ দাবানলে কয়েকটি ছোট শহর হতে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়েছে। দাবদাহের কারণে দেশটির তাপমাত্রা আরও খারাপ অবস্থার দিকে চলেছে।
এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছেন যে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে ইসরাইল। গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও সাইপ্রাস হতে অগ্নিনির্বাপণ বিমান আসছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির নির্দেশে দুটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং রাশিয়াও সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।