দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেঁচে থাকতে এবং একবেলার খাবার জোটাতে প্রত্যেকদিন তাদেরকে যে লড়াইটা করতে হয়, তা এক কথায় অবর্ণনীয় এক লড়াই।
বেঁচে থাকতে এবং একবেলার খাবার জোটাতে প্রত্যেকদিন তাদেরকে যে লড়াইটা করতে হয়, তা এক কথায় অবর্ণনীয় এক লড়াই।
শুধুমাত্র নিজের পেট ভরানোই নয়, তাদের কাধে রয়েছে দেশরক্ষার মতো গুরুদায়িত্বও। দিনের পর দিন প্রকৃতির করাল রোষের ভ্রুকুটি এড়িয়ে এভাবেই মাইনাস ৪০ হতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি উষ্ণতায় দেশের সেবায় জীবনপাত করেছেন ভারতীয় জওয়ানরা!
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই লড়াইয়েরই একটি ছোট্ট খণ্ডচিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রণক্ষেত্র সিয়াচেনে ভারতের বীর সন্তানদের রোজকার লড়াইয়ের এমন একটি ভিডিও৷
সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওতে রোজকার লড়াইয়ের বর্ণনা দিয়েছেন সিয়াচেনে কর্মরত ভারতীয় সেনার তিন জন জওয়ান। হিমাঙ্কের বহুগুণ নীচে থাকা উষ্ণতায় একবেলার খাবার জোটাতে প্রতিদিন কীভাবে তাদেরকে পরিশ্রম করতে হয়, ভিডিওটিতে সেই বর্ণনাও করেছেন তারা। ভিডিওতে ওই তিন জওয়ান দেখিয়েছেন যে, রান্না তো দূরের কথা, সামান্য ফলের জুস খেতেও কষ্ট করতে হয় তাদেরকে। কারণ হলো, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় প্যাকেটের মধ্যে ফলের রস এতোটাই জমাট বেঁধে যায় যে, সেটি বের করতে রীতিমতো ছুরি, হাতুড়ির প্রয়োজন হয়। বরফের শক্ত ডেলার মতো জমাট বেঁধে থাকা ফলের রস ভাঙতে প্রয়োজন পড়ে হাতুড়ির৷ তারপর সেই বরফের ডেলাকে ফুটিয়ে খেতে পারেন তারা।৷ সামান্য ডিম সিদ্ধ করতে গেলেও একই কষ্ট করতে হয় বলে জানিয়েছেন জওয়ানরা। ভিডিওটিতে পরীক্ষামূলকভাবে তারা দেখিয়েছেন যে, মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সামান্য ডিম ফাটাতে গেলেও প্রয়োজন পড়ে সেই ধরনের হাতুড়ির। জওয়ানদের দাবি, কোনও কোনও সময় সজোরে আঘাত করলেও ডিমের গায়ে সামান্যতম আঁচড়ও পড়ে না এমন ঘটনাও ঘটেছে। যাকে মজার ছলে তাঁরা ‘হিমবাহের ডিম’ বলেও উল্লেখ করেছেন। জওয়ানদের মতে, সিয়াচেনে জীবন অতিবাহিত করা যুদ্ধের থেকে কোনো কম কিছু নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জওয়ানদের রোজকার এই জীবনযুদ্ধের ভিডিও ভাইরা,ত এমন এক অবস্থায় নেটিজেনরা ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানিয়েছে৷ সাধারণভাবেবিভিন্ন সময় একাধিক ছোট কোনো ইস্যুতেও ভারতীয় সেনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এই জীবন সংগ্রামের ভিডিও, সেই সমস্ত সমালোচকদের মুখের উপর সপাটে দেওয়া উত্তর বলেই দাবি করছেন নেটিজেনদের একাংশ।