দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট সমাধানে আরব আমিরাতের পর এবার প্রথমবারের মতো ইরাক যাচ্ছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস।
গত সোমবার মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য এলাকায় খ্রিস্টানদের সহায়তা করে এমন কয়েকটি দাতব্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় তিনি এই তথ্য জানান।
পোপ বলেছেন, ২০২০ সালের যেকোনো সময় তিনি যুদ্ধবিধস্ত ইরাক সফর করবেন। সেই হিসেবে ইরাকে হবে এটাই তার প্রথম সফর। খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশটি যুদ্ধের মধ্যে পড়ে রয়েছে। সেখানে রক্তের হলি খেলা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যখনই আমি ইরাকে কথা ভাবি, তখনই গভীর চিন্তায় পড়ে যায়। তিনি বলেন, আগামী বছরই সেখানে আমার যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় আইএস’র উপর্যপুরি হামলায় ইরাক রণক্ষেত্রে পরিণত হলে অনেক খ্রিস্টান দেশটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়ে আসছে। যদিও কয়েকমাস পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহযুদ্ধের জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপকে দায়ী করেছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
সান কার্লো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে দেওয়া এক বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস এবং রক্তের জন্য আমেরিকা ইউরোপ দায়ী। মারণঘাতি অস্ত্র বিক্রি করায় সেইসব অস্ত্রগুলো কোমল শিশুদের বুকে হানা হচ্ছে। প্রতিদিন বহু শিশু মারা যাচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। এর পূর্ণ দায়ভার ইউরোপ আমেরিকার ওপরই বর্তায় বলে যোগ করেন তিনি।
ইরাকে ক্যাথলিক ও অর্থডক্স খ্রিস্টানদের অনেক চার্চ রয়েছে। সাবেক পোপ জন পল ২০০০ সালে একবার ইরাকের প্রাচীন উর নগরী ভ্রমণ করতে চাইলেও পরে তিনি আর যেতে পারেননি। তবে পরিস্থিতির আলোকে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।