দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি এমন- আপনি খালি পায়ে সমুদ্র সৈকতে গেলেন। তখন সেখানে গিয়ে দেখলেন, আপনার জন্য সারি সারি জুতা পড়ে রয়েছে সমুদ্রসৈকতে! তাও আবার কম দামি নয়, রীতিমতো দামী দামী নাইকির জুতা। তবে দুর্ভাগ্য হলো, সেই জুতা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না!
সমুদ্রে পাওয়া জুতা কেনো ব্যবহার করা যাবে না? কারণ হলো দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রার পর সেই জুতা আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। সমুদ্রের লবণ পানিতে পচে যায় জুতার চামড়া। পানির পোকারা বাসা বাঁধে ওই জুতায়। এমন গুচ্ছ গুচ্ছ নাইকির জুতা সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসার কথা শোনা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গতবছর মধ্য আটল্যান্টিকের সমুদ্র সৈকতগুলিতে প্রধান আকর্ষণীয় দৃশ্যই ছিল ভেসে আসা রঙ-বেরঙের নাইকির নানা জুতা। আয়ারল্যান্ডের সমুদ্রসৈকতগুলি হতে শুরু করে বাহামাস, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সকল দেশেই নাইকির জুতা ভেসে আসার খবর শোনা যায়। সমুদ্রসৈকতে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস খুঁজে বেড়ানো যাদের অভ্যাস রয়েছে, তারা এই রহস্য উদঘাটন করতে তৎপর হন।
জানা গেছে, গত বছর মার্চ মাসে উত্তর ক্যারোলিনার দুর্গম সমুদ্র পথে একটি জাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ‘মায়েরক্স সাংহাই’ নামে ওই জাহাজটির দুর্ঘটনায় প্রায় ৭০টি কন্টেনার সমুদ্রে হারিয়ে যায়। প্রত্যেক কন্টেইনারে প্রায় ২৯ হাজার নাইকির জুতা ছিল! সেই জুতাগুলোই বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতগুলিতে ভেসে ভেসে আসছে।
যদিও নাইকি কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো দুর্ঘটনার কথা জানায়নি এখন পর্যন্ত। তবে এই ঘটনা এবারই প্রথমবার নয়। ঠিক এরকমই এক নাইকি জুতাবাহী একটি জাহাজ ১৯৯০ সালে এক সমুদ্র দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলো। তখন নাকি ৬১ হাজার নাইকি জুতা সমুদ্রে হারিয়ে যায়।