দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার বর্তমান স্বামী সানাউল্লাহ নূরী সাগরকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার বর্তমান স্বামী সানাউল্লাহ নূরী সাগরকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গতকাল (বুধবার) আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করার পর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেয় আদালত।
কক্সবাজারের নারী নির্যাতন ট্রাইবুনালে আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সানাউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ সানাউল্লাহ নূরী সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সাগরের প্রথম স্ত্রী তাসনিয়া মুনিয়াত ওরফে পুষ্প। (মামলা নম্বর-২৫৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১১(গ)/৩০)। এই মামলায় উচ্চ আদালত হতে তিনি আগাম জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল (বুধবার) নিম্ন আদালতে হাজির হন সানাউল্লাহ নূরী সাগর ও তার বাবা-মা।
এই সময় তার আইনজীবী কক্সবাজার আদালতের আহমদ কবিরসহ ঢাকা হতে আনা আরও ৮-১০ জন জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানী শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বাদী পক্ষে এই মামলায় লড়েন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত এবং মোহাম্মদ আজম।
এপিপি অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত বলেন, মামলার প্রধান আসামী সালমার স্বামী সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগরকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তার বাবা-মাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
সালমার স্বামীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর খবর প্রচার হওয়ার পর আদালত এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সালমার স্বামীকে একনজর দেখতে আদালত হাজতে ভিড় জমায় এলাকার উৎসুক জনতা। তবে সেদিকে কাওকে ভিড়তে দেয়নি আদালত পুলিশ। বিকেল ৪টায় তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই সানাউল্লাহ নূরী সাগরের সঙ্গে বিয়ে হয় কণ্ঠশিল্পী সালমার। তারপর সাগরের আগের স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের করেন। সালমার স্বামী সাগর আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছিলেন।