দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে সমালোচনা করে ই-মেইল ফাঁসের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনের এক তথ্যে জানা যায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন যে, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। ইতিপূর্বে কিম ডারখ বলেছিলেন, ‘তার এই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’ অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীপ্রার্থী বরিস জনসন তাকে সমর্থন না দেওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘অদ্ভুত ও নিষ্ক্রিয়’ উল্লেখ করে কিমের ই-মেইল প্রকাশ পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ‘একজন মূর্খ ব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেন। ২০১৭ সালের ওই ই-মেইলে বলা হয়েছিলো, হোয়াইট হাউসে “অন্তর্ঘাত এবং বিশৃঙ্খলার” গুজব বেশিরভাগই সত্য। পরে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কিমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়ায় যাবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তারপর পররাষ্ট্র দফতরে দেওয়া এক চিঠিতে কিম বলেন, তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শেষ করতে চেয়েছেন। বলেছেন যে, ‘আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পছন্দ করি বর্তমান অবস্থায় সেটি মোটেও সম্ভব নয়।’
কিমের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন হলেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। আরেক প্রার্থী জেরেমি হান্ট তাকে বারবার প্রশ্ন করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে স্যার কিমকে স্বপদে বহাল রাখবেন কিনা। তবে এই প্রশ্নের কোনো উত্তরই দেননি তিনি। তিনি বলেন যে, “সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিধিতে টেনে আনা মোটেও ঠিক নয়।”
লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন যে, জনসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘মধুর বাণিজ্য চুক্তি’ করতে চেয়েছিলেন ও স্যার কিমের প্রতি তার সমর্থনহীনতা প্রমাণ করে যে, ‘তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না।’