দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার এতোটাই ঘটেছে যে সব বিষয়েই যেনো তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এমন কি ভিক্ষুকরাও শেষ পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। এখন অ্যাপ দিয়ে ভিক্ষা করছে ভিক্ষুকরা!
বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার এতোটাই ঘটেছে যে সব বিষয়েই যেনো তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এমন কি ভিক্ষুকরাও শেষ পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। এখন অ্যাপ দিয়ে ভিক্ষা করছে ভিক্ষুকরা!
আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দেন বাবা! রাস্তায়, বাসে, ট্রেনে প্রায়শই এই বক্তব্য আমরা শুনতে পায়। ঠিক এভাবেই হাত পেতে টাকা চান এদেশের ভিক্ষুকরা। ইদানিং ভিক্ষুকদের চাহিদাও যেনো বেড়েছে। এক টাকা, দু’টাকা দিলে বা খুচরার সমস্যার জন্য টাকা দিতে না পারলে, অনেক সময় এরা রেগেও যায়! দু-চারটে কথাও শুনিয়ে দেয় অনেক সময়। তবে এবার জেনে আশ্চর্য হবেন যে, চীন এই সমস্যা সমাধানের একটি রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। সেটি কীভাবে?
জানা গেছে যে, চীনের ভিখারিরা নাকি আর নগদ টাকায় ভিক্ষা নিচ্ছেন না। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজকাল নাকি তারা ক্যাশলেস লেনদেনের উপরই ভরসা করছেন! আইপে’র মতো অ্যাপের মাধ্যমে ভিক্ষা গ্রহণ করছেন চীনের ভিক্ষুকরা! অতি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে চীনা ভিখারিদের ভিক্ষা নেওয়ার এই নয়া পন্থাটি। যে ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রবল কৌতূহল ও আলোচনাতে।
সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, চীনের প্রত্যেক ভিখারির গলায় ঝোলানো রয়েছে নির্দিষ্ট কিউআর কোডযুক্ত ব্যাজ ও সেই কোড স্ক্যান করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থ ওই ভিখারির ই-ওয়ালেটে ট্রান্সফার করছেন ভিক্ষাদাতারা। এক্ষেত্রে পোহাতে হচ্ছে না কোনও নগদের ঝামেলা। সেইসঙ্গে চটজলদি লেনদেনও হয়ে যাচ্ছে।
নগদহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও যেমন আইপে, ইউপে’র মতো অ্যাপগুলোর ব্যবহার হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই চীনা ভিক্ষুকরা ব্যবহার করছেন আলিবাবা সংস্থার তৈরি আলি পে অ্যাপটি। অনেকেই আবার ব্যবহার করছেন উইচ্যাট ওয়ালেটও। সবক্ষেত্রেই ব্যবহারের নিয়ম ওই একই। কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-ওয়ালেটে জমা করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। চীনা ভিক্ষুকদের ভিক্ষা নেওয়ার এই অভিনব আধুনিক পদ্ধতিই বর্তমানে মন কেড়েছে দুনিয়া জোড়া নেটিজেনদের। হয়তো বাংলাদেশের ভিক্ষুকরাও এই সহজ পথটি অনুসরণ করবে। সেই দিনটি দেখতে খুব বেশিদিন হয়তো অপেক্ষা নাও করতে হতে পারে। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা!