দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তির কারণে ছাপানোর দিন যেনো ক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব কিছুই এখন যেনো অনলাইননির্ভর হয়ে উঠছে। বিশ্বে পাঠ্যপুস্তকের সবচেয়ে বড় প্রকাশক পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেবে!
বিবিসি বাংলার এক খবরে জানা যায়, বিশ্বে পাঠ্যপুস্তকের সবচেয়ে বড় প্রকাশক পিয়ার্সন এর সব শিক্ষা বিষয়ক বই-পত্র এখন থেকে কেবলমাত্র ডিজিটাল ফর্ম্যাটেই পাওয়া যাবে।
পিয়ার্সন আরও বলেছে যে, শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ছাপানো পাঠ্যপুস্তক কেবলমাত্র ধার করতে পারবে। এসব বইয়ের নতুন সংস্করণও আর আগের মতো করে ঘন ঘন বের হবে না।
পিয়ার্সন চাইছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যেনো তাদের প্রকাশ করা ই-টেক্সট বুকই বেশি ব্যবহার করে। এসব ই-টেক্সটবুক সব সময়ই আপডেট করা হবে।
এই বিষয়ে পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন বলেছেন যে, তাদের মোট বিক্রির প্রায় অর্ধেকের বেশি আসে ডিজিটাল হতে। কাজেই তারা সংবাদপত্র, সঙ্গীত কিংবা সম্প্রচার শিল্পের মতো একই পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রীর বেশিরভাগই বর্তমানে ডিজিটাল ফর্মেই পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, পিয়ার্সনের মোট আয়ের ২০ শতাংশ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোর্সের পাঠ্যসামগ্রী বিক্রি হতে। তবে সাম্প্রতিক সময় শিক্ষার্থীরা খরচ বাঁচানোর জন্য নতুন পাঠ্যবই কেনার চেয়ে বরং পুরোনো পাঠ্যবই ধার নিচ্ছে বেশি।
এটি বন্ধ করার জন্য পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, আর তারা ছাপানো পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ বের করবেন না। পিয়ার্সন ইতিপূর্বে তিন বছর অন্তর অন্তর তাদের পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণগুলো বের করতো।
পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন আরও বলেন, আমরা হয়তো আরও কিছুদিন ছাপানো টেক্সট বই ব্যবহার করবো, তবে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ছাপানো বইয়ের ভূমিকা ক্রমেই সীমিত হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন অনেক কিছুই শিখি। এক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল পরিবেশ অনেক বেশি কার্যকর। ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক ক্রমাগত এবং খুব সহজে আপডেট করা যায়, সেখানে ভিডিও দেওয়া যায় এমনকি শিক্ষার্থীরা কেমন করছে তার মূল্যায়নও দেওয়া যায়।
তবে ডিজিটাল পাঠ্যসামগ্রী যেভাবে নিয়মিতভাবে চাঁদা দিয়ে কিনতে হয়, তার জন্য পাঠ্যপুস্তকের লেখকরা এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা রয়েছে। মিউজিক স্ট্রীমিং সার্ভিস চালু হওয়ার পর যেমনটি ঘটেছে শিল্পীদের জীবনে।