দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পল গিলমোর নামের এক ব্রিটিশের লেখা ৫০ বছরের পুরোনো একটি চিঠি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে সম্প্রতি পাওয়া গেছে। ওই চিঠি নিয়ে বেশ হৈ চৈ পড়ে গেছে!
মাঝে মধ্যেই এমন কিছু চিঠি আমাদেরকে বিস্মিত করে। চিঠিগুলো দেখে ঐতিহাসিক বলেই তখন মনে হয়। তাই ওইসব চিঠি নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেনো শেষ থাকে না। পল গিলমোর নামের এক ব্রিটিশের লেখা ৫০ বছরের পুরোনো একটি চিঠি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে সম্প্রতি পাওয়া গেছে। ওই চিঠি নিয়ে বেশ হৈ চৈ পড়ে গেছে!
অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম এবিসি রেডিও বলেছে, আইরি উপদ্বীপে মাছ ধরার সময় বোতলটি পান জনৈক পল এলিয়ট ও তার ছেলে জিহা।
চিঠি থেকে জানা যায়, গিলমোর ১৩ বছর বয়সে জাহাজে করে ফ্রিম্যানটেল হতে মেলবোর্নে যাওয়ার সময় এটি লিখেছিলেন। হাতে লেখা চিঠিতে ১৭ নভেম্বর, ১৯৬৯ সালের তারিখ লিখা আছে।
কিশোর গিলমোর ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি ফেয়ারস্টার জাহাজে অবস্থান করছেন। এই জাহাজটি ৬০’র দশকে বহু ব্রিটিশ অভিবাসীকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতো। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, কেও বোতলটি পেলে মেলবোর্নে যেনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এবিসি আরও জানিয়েছে, তারা গিলমোরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। গিলমোর আরেকটি সমুদ্র ভ্রমণে থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
তার বোন অ্যানি ক্রসল্যান্ড এই ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্যিই এটি অবিশ্বাস্য ব্যাপার। সে (গিলমোর) তো আনন্দে ভেসে যাবেন।’
ওই চিঠি লেখার দিন গিলমোরের সঙ্গে ক্রসল্যান্ডও জাহাজেই ছিলেন। সেই সময়ের ঘটনা স্মরণ করে তিনি জানান যে, গিলমোর মোট ৬টি বোতলে চিঠি ভাসিয়ে দিয়েছিলেন।
গিলমোরের ভাই ডেভিড জানিয়েছেন যে, চিঠির হাতের লেখা তার ভাইয়েরই, ‘দেখে বুঝতে পারছি এটা আমার ভাইয়ের হাতের লেখা। ও তখন কতো ছোট ছিল!’
গিলমোরের পরিবার ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বসবাস করেন। তারপর তারা ইংল্যান্ডে ফিরে যান।
উল্লেখ্য যে, বোতলে ভেসে আসা কোনো চিঠির মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো ঘটনাটি হলো ১৩২ বছর আগের। টনয়া ইলমান নামে এক অস্ট্রেলিয়ান নারী ওয়েজ আইল্যান্ডে ওই চিঠিটি খুঁজে পেয়েছিলেন। ১৮৮৬ সালের ১২ জুন লেখা ওই চিঠি এখন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।