দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্যই সম্পদ, তাই আমাদের জীবনকে সুন্দর ও সফল করে তুলতে ভালো স্বাস্থ্যের গুরুত্ত অপরিসীম। আজ জেনে নিন সকালের কার্যকারী ৫টি ব্যায়াম সম্পর্কে।
কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জনের জন্য সুস্বাস্থ্য আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার স্বরূপ। আমরা যদি দিনের শুরুতেই আমাদের শরীরকে প্রস্তুত করি তাহলে আমরা খুব সহজেই আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পারি। সুতরাং সকাল বেলার ব্যায়াম দিনের যেকোনো সময়ের থেকে অধিকতর লাভজনক ও উত্তম। সকাল বেলার ব্যায়াম আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বিকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগায়। সকাল বেলার ব্যায়াম আমাদের শরীরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে। কর্মক্ষেত্রে দ্বিগুণ মনোযোগী ও আগ্রহী হতে সকালের ব্যায়াম আমাদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে তৈরি করে তোলে। সকাল বেলা ব্যায়ামের দ্বারা আমাদের মন চনমনে থাকে, কাজে আসে মনোযোগ, আমরা চাঙ্গা থাকি দিনভর, শরীরে ক্লান্তির ছাপ পড়েনা। সকালের ব্যায়াম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে ভুগছি, যা সকালের ব্যায়াম দ্বারা আমরা খুব সহজেই কমাতে পারি। সুতরাং আমরা বলতে পারি সকালের উপযুক্ত ব্যায়াম এবং প্রফুল্ল মনই হচ্ছে আমাদের সারাদিন সুস্থ থাকার উৎস।
তাহলে চলুন লক্ষ করা যাক সকালের কার্যকারী ৫টি ব্যায়ামঃ
১. হাঁটা অথবা জগিংঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটা বা দৌড়ানো হল সবথেকে উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। সকালে জগিং করলে আপনার শরীরের মেদ কমে যাবে। জগিং এর ফলে শরীর সারাদিন চনমনে থাকবে। সকালের বাতাস থাকে পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন ৩০মিনিট জগিং করুন। হাঁটার সময়ে হাত ছেড়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। সকালে ব্যায়াম করার আগে বেশি ভারি খাবার খাওয়া যাবে না। সামান্য ছোলা ও তার পাশাপাশি ইসবগুলের ভুসি খাওয়া জেতে পারে।
২. স্ট্রেচিং এক্সারসাইজঃ রাতের ঘুমের পর আমাদের শরীর যেন আটকে থাকে আর তাই সকালের ব্যায়ামে আমাদের স্ট্রেচিং খুবি উপকারী ও দরকারি। স্ট্রেচিং করলে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। আমরা যদি নিয়মিত স্ট্রেচিং করি তাহলে আমাদের শরীরের নানান ব্যথা অতি সহজে নিরাময় হয়ে আমাদের আরাম প্রদান করবে। আমরা নিয়মিত সকালে সাইড ব্যান্ড, ফ্রন্ট ব্যান্ড, ক্রাঞ্ছ, আরম সুইং, হেড সুইং ইত্যাদি স্ট্রেচিং ব্যায়াম গুলো করতে পারি।
৩. দড়ি লাফঃ কম সময়ের মধ্যে দড়ি লাফ একটি খুবি কার্যকর ব্যায়াম। দড়ি লাফ এর জন্য আমাদের বেশি জায়গার প্রয়জন পড়েনা। আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট দড়ি লাফ দেওয়া উচিত। দড়ি লাফ আমাদেরকে গুনে গুনে দিতে হবে এবং ধিরে ধিরে এর মাত্রা বাড়াতে হবে। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে এই ব্যায়াম হয়ে ওঠে খুবি মজাদার। লাফ দেয়ার সময় আমাদের লক্ষ রাখতে হবে আমরা যাতে গোড়ালি দিয়ে মাটিতে আছড়ে না পড়ি। আমাদের পায়ের পাতা দ্বারা মাটিতে পরতে হবে।
৪. পুশ আপঃ পুশ আপ আমাদের কাছে খুবি পরিচিত একটি ব্যায়াম। পুশ আপ যদি সঠিক নিয়মে করা হয় তাহলে আমরা আমরা খুব দ্রুত আমাদের শরীরের গঠন পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবো। দুহাত মাটিতে রেখে মাথা ও পা সমতলে রেখে আস্তে আস্তে উপর নিচ করাই হল পুশ আপ এর টেকনিক। পুশ আপ এর দ্বারা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায়। যদি সঠিক নিয়মে আমরা এই ব্যায়ামটি করি তাহলে আমাদের বুক, পেট, কোমর, ঘাড় ইত্যাদি অনেক অংশের উপর এর প্রভাব পড়ে যা আমাদের জন্য খুবি কার্যকরী।
৫. লেগ রাইজঃ আমাদের সকালের ব্যায়ামের তালিকায় লেগ রাইজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। এই ব্যায়াম মূলত আমাদের পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। এই ব্যায়াম আমরা আমাদের পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য এবং নিজেকে আরো স্লিম ও ফিট বানানোর জন্য করে থাকি। খুব সহজে আমরা এই ব্যায়াম করতে পারি। আকাশের দিকে মুখ করে মাটিতে সমতল ভাবে শুয়ে পড়ুন, তারপর আপনার পা দুটো একসাথে উপরে তুলুন। পা উপর থেকে এবার ধিরে ধিরে নিচে নামান। নিচে নামানোর সময়ে অবশ্যই আমাদের মাথা, পিঠ ও হাত মাটিতে মিশিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনি আপনার পেট, তলপেট ও বুকে টান অনুভব করবেন।