দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের পর বছর ধরে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। তবু ওইসব প্রশ্নের সমাধানে বিজ্ঞানীরা একবিন্দুও এগোতে পারেননি। তবে এবার একাধিক ‘পৃথিবীর’ সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা!
এমন একটি প্রশ্ন আসতে পারে, পৃথিবীই কি একমাত্র প্রাণের উৎস? তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা এবার এমন ৩টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা তাদের ওই প্রশ্নের সমাধানে বিশেষ সহায়তা করতে পারে। এই মহাজগতে পৃথিবী ছাড়া আর কোনো গ্রহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে কি না, সেই রহস্যের ওপর আলো ফেলতে পারে ওই তিনটি গ্রহ।
খুঁজে পাওয়া এই ৩টি নতুন গ্রহের মধ্যে একটি নতুন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা রয়েছে, যেটা আমাদের সৌরজগতে আগে কখনও দেখাই যায়নি।
গবেষকরা বলছেন যে, এই রহস্যময় গ্রহগুলো হতে পারে ‘হারিয়ে যাওয়া সেই সূত্র’ যেটি ‘এলিয়েন (ভিনগ্রহী)’ খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীদের জন্য বিশাল এক উপহারও হতে পারে।
জানা গেছে, নতুন এই তিন গ্রহ একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। নক্ষত্রটি আমাদের সূর্য হতে মাত্র ৭৩ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া এই ধরনের গ্রহগুলোর মধ্যে এগুলোই সবচেয়ে কাছে এবং ছোট।
নাসার এক্সোপ্লানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষকরা এই গ্রহগুলো আবিষ্কার করেছেন। এই প্রকল্প ২০১৮ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য হলো এমন সব নক্ষত্র এবং গ্রহ খুঁজে বের করা, যেখানে হয়েছে জীবনের বিবর্তন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, নতুন তিন গ্রহের মধ্যে একটি পাথুরে গ্রহও রয়েছে, যা আমাদের পৃথিবী হতে কিছুটা বড়। বাকি দুটো গ্রহ আবার গ্যাসের তৈরি, যা আরেকটু বড়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই গ্রহগুলোকে করেছে ‘হারিয়ে যাওয়া সূত্র’। কারণ হলো পাথুরে গ্রহটি অনেকটা পৃথিবী কিংবা মঙ্গলের মতোই দেখতে। গ্যাসীয় গ্রহগুলো দেখতে বৃহস্পতি ও শনির মতো।
গ্রহগুলোর অনুসন্ধানী দলের প্রধান ম্যাক্সিমিলিয়ান গুন্থার এই বিষয়ে বলেন, গ্যাস ও পাথুরে গ্রহ কীভাবে এই জায়গাতে সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে এই নতুন গ্রহগুলো বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, পৃথিবীর মতো দেখতে ওই গ্রহে এমন তাপমাত্রা থাকতে পারে, যা প্রাণের বিকাশে বিশেষ সহায়তা করতে পারে। তবে এর বায়ুমণ্ডল খুব হালকা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও নাকি বেশ উষ্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।