দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক দ্বীপের গল্প হয়তো আপনি শুনেছেন তবে আজ এমন এক দ্বীপের গল্প রয়েছে যে দ্বীপে একটি রাত কাটালেই মৃত্যু অনিবার্য!
পৃথিবীময় এমন অনেক দ্বীপ রয়েছে যেগুলো মানুষের আকর্ষণ করে। এই সব দ্বীপে পর্যটকরাও যান সময় কাটাতে। আর সেসব দ্বীপে গিয়ে বেশ মজা পান পর্যটকরা। তাইতো দূর-দূরান্ত হতে বহু পর্যটক ছুটে যান সেই সব দ্বীপগুলোতে। তবে আজকের যে দ্বীপের গল্প রয়েছে সেটি একেবারেই ব্যতিক্রমি একটি দ্বীপ। এখানে পর্যটকদের যাওয়া তো দূরের কথা, সেখানে নাকি একটি রাত কাটালেই ঘটবে মৃত্যু! তাহলে কী এমন দ্বীপ এটি?
এটি আসলে একটি ‘ভূতুড়ে দ্বীপ’! স্থানীয়রাও এই ‘ভূতুড়ে দ্বীপ’ নামেই ডাকেন। মাঝ সমুদ্রে নির্জন সবুজ ওই অঞ্চল দূর থেকে দেখলে মনে হবে খুব সুন্দর একটি দ্বীপ। কিন্তু এর ভিতরে ঢুকতে গেলে আপনার গা ছমছম করবে।
এই দ্বীপ সম্পর্কে আশেপাশে লোকজন যা বলে থাকেন, তাতে আপনি ওই দ্বীপের ছায়াও মাড়াবেন না বিষয়টি জানলে। প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে এই পরিত্যক্ত দ্বীপ সম্পর্কে শোনা যায়, ওখানে একরাত থাকলেই নাকি মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে আপনার! রাত হলে যেনো চেহারাটাই পাল্টে যায় প্রাচীন এই দ্বীপটির!
প্রকৃতপক্ষে এই দ্বীপের নাম ‘নান মাদোল’। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মাইক্রোনেশিয়ার পনফেই দ্বীপের পাশে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপটি। এই দ্বীপের ভিতর প্রাচীন শহরকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের তকমাও দেওয়া হয়ে থাকে। এতোই প্রত্যন্ত জায়গায় এটি অবস্থিত যে কারও পক্ষে সেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
গবেষকরা ওই দ্বীপটিতে গিয়ে দেখেছেন, সেখানে ৯৭টি পৃথক পৃথক ব্লক রয়েছে। সরু খালের মতো জলাশয় সেগুলোকে একে অপরের থেকে পৃথক করে রেখেছে। তবে কি কারণে এই ধরনের ব্লক তা মোটেও স্পষ্ট নয়।
কেও কেনো মাঝ সমুদ্রের দ্বীপে এমন একটি শহর তৈরি করলেন, সেটি আজও অজানায় রয়ে গেছে। আশেপাশে কোথাও তেমন কোনও মানব সভ্যতার চিহ্নও নেই। রহস্যময় এই দ্বীপ অস্ট্রেলিয়া হতে ১৬০০ মাইল দূরে এবং লস অ্যাঞ্জেলস হতে ২৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
আবার স্যাটেলাইট ইমেজে ঘন জঙ্গল ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। দ্বীপে নামলে দেখা যায় যে, সেখানে রয়েছে অনেক প্রাচীর, যার দেওয়াল ২৫ ফুট লম্বা ও ১৭ ফুট মোটা! এই ‘নান মাদোল’ শব্দটির অর্থ হলো, দুটি জিনিসের মাঝখানে থাকা কোনও এক বস্তু। পনফেই দ্বীপের বাসিন্দারা ওই দ্বীপের ধারে-কাছেও যেতে চান না।
তাদের দাবি হলো, ওই দ্বীপে ভূত রয়েছে। তবে অনেকেই পর্যটকদের নিয়ে সেখানে যান কেবলমাত্র দিনের আলোতেই। কারণ হলো রাতের অন্ধকারে আলোকোজ্জ্বল অদ্ভুত সব বস্তু নাকি ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন অনেকেই। তাই এই দ্বীপে কেও ভুলেও নাকি রাত কাটান না। রাতে থাকলেই নাকি ঘটবে মৃত্যু!