সূর্যের আলো এবং পানি থেকেই হবে জ্বালানি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। বা বলা যায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞান। আর সেই বিজ্ঞানের সুবাধে ঘটছে নানাবিধ উন্নতি। এবার সূর্যের আলো এবং পানি থেকেই হবে জ্বালানি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। বা বলা যায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞান। আর সেই বিজ্ঞানের সুবাধে ঘটছে নানাবিধ উন্নতি। এবার সূর্যের আলো এবং পানি থেকেই হবে জ্বালানি। আমাদের দেশের জ্বালানি সংকট কি পরিমাণ রয়েছে তা আমাদের সকলের জানা। এই জ্বালানি সংকট হতে নিস্তারের জন্য আমরা নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। যেমন বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে আমরা পারমানবিক বিদ্যুতের দিকেও আমরা ঝুকে পড়েছি। পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ অনেক কম হলেও নিরাপত্তা প্রশ্ন রয়েছে। তারপরও আমরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য সেই নিরাপত্তার দিকে না তাকিয়ে পারমানবিক চুল্লি স্থাপন করছি। তবে এবার নতুন খবর হলো সূর্যের আলো এবং পানি থেকেই হবে জ্বালানি। প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার লোকসান গুণতে হয় জ্বালানি চাহিদা মেটাতে। তবে এমন একটি উদ্ভাবন নি:সন্দেহে আমাদের জন্য একটি ভালো খবর।

বর্তমান বিশ্বে জ্বালানি নিয়ে সমস্যার যেনো শেষ নেই। তাছাড়া দূষণের একটি বড় কারণও হলো এই জ্বালানি। অপরদিকে চাহিদা বেশি হওয়ায় এই জ্বালানির দামও অনেক বেশি। নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের উপরেই নির্ভর করতে হয় ভারতের মতো দেশগুলোকে। এই সব সমস্যার একসঙ্গে সমাধান দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছেন ভারতের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

Related Post

ভারতের আইআইটি যোধপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ফুয়েল অফ দ্য ফিউচার’ বা ‘ভবিষ্যতের জ্বালানি’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। ঠিক যে পদ্ধতিতে গাছের সালোকসংশ্লেষ হয় তার ঠিক একেবারে উল্টো পদ্ধতিতে উৎপন্ন হবে জ্বালানি। এমনই জানানো হয়েছে ওই গবেষকদের পক্ষ হতে।

ওই শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর পরিমাণ সূর্যের আলো। সেই আলোতেই পানি হতে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পৃথক করা হবে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ল্যান্থানাইড’ নামে একটি রাসায়নিক ক্যাটালিস্ট কিংবা অনুঘটকের সন্ধান পেয়েছেন ওই গবেষকরা। সেই অনুঘটকই অক্সিজেনকে পৃথক করার পর তুলে আনবে বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন। আর সেটিই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মিথেন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। তবে সেটি বেশ খরচসাপেক্ষ প্রক্রিয়া বটে। সেজন্য ১০০০ হতে ২০০০০ ডিগ্রির তাপমাত্রা প্রয়োজন পড়ে। গবেষক দলের একজন অধ্যাপক রাকেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন যে, প্রথমবার এতো কম খরচে জ্বালানি উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতি বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হলে জ্বালানি উৎপাদন বহুলাংশে সহজ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯ 4:07 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

জয়া এবার মা হচ্ছেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয়তার শিখরে আছেন অভিনেত্রী জয়া। দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী…

% দিন আগে

মার্কিন পতাকা নামিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়লো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্যাম্পাস বিক্ষোভের…

% দিন আগে

বাংলা সাল যেভাবে এলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৈশাখ এলে বাংলা সালের কথা আমাদের মনে পড়ে। আসলে এই…

% দিন আগে

নদী ও নৌকা: এক অসাধারণ গ্রামের দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

আপনি কী জনেন দিবানিদ্রার অভ্যাসে বাড়তে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…

% দিন আগে

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ সেশনের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…

% দিন আগে