দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের চন্দ্রযান-২ এর মিশন ব্যর্থ হলো। চাঁদে অবতরণের পূর্ব মুহূর্তেই এর সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভারতের জন্য এটি হতাশাজনক বিষয় হলেও পাকিস্তানের মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছেন।
ভারতের চন্দ্রযান-২ এর মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তানের মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে ভারতকে উপহাস করতে ভুলেননি। কেও কেও ভারতের এই অভিযানকে পাগলামো বলেও আখ্যায়িত করেছেন। কেও আবার কাশ্মীর নিয়ে একটু খোঁচা মারার চেষ্টা করেছেন। তবে অনেক পাকিস্তানিই অবশ্য নেতাদের এমন মশকরার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ভারতের চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি টুইটে লেখেন যে- প্রিয় ভারত, চাঁদে যান পাঠানোর মতো পাগলামো না করে নিজেদের দারিদ্রতা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করো। নইলে কাশ্মীর মিশনও চন্দ্রযানের মতোই ব্যর্থ হবে, তবে তার মূল্য অনেক বেশি হবে। তার আগের এক টুইটে তিনি মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া নিয়েও রসিকতা করেছেন এই পাক মন্ত্রী।
অপরদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের এক সিনেটর ফয়সাল জাভেদ খান লিখেছেন যে, চাঁদে অভিযান না চালিয়ে ভারতের উচিৎ নিজেদের শৌচাগার নিয়ে কাজ করা। কাশ্মীরের মতো চাঁদে অভিযান চালিয়ে ভারত শুধুমাত্র অর্থ অপচয় করছে। এই সময় ভারত ব্যর্থ বলেও তিনি হ্যাশট্যাগ দেন।
পাকিস্তান আইএসপিআর- এর ডিরেক্টর জেনারেল আসিফ গফুরও ভারতকে খোঁচা মেরেছেন। তিনি তার এক টুইটে লিখেছেন যে, এই মিশন ব্যর্থ হওয়ার জন্য কাকে দায়ী করবে ভারত? কাশ্মীরিদের নাকি হিন্দুত্ববাদ বিরোধীদের?
তবে পাকিস্তানী নেতাদের এমন মশকরায় নামার সমালোচনাও হচ্ছে দেশটির সাধারণ জনগণের মধ্যে। বিবিসি সাংবাদিক ফারান রাফি টুইটারে লিখেছেন যে, কেও একজন ফাওয়াদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিন। তাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণার কী অবস্থা! তিনি মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে আসলে কী জানেন? তিনি আগে বলুন যে সফট ল্যান্ডিং অর্থ কী?
মুবাশির জাইদি নামে অপর একজন পাকিস্তানী সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন যে, ভারত অন্তত চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের মন্ত্রীদের এতো খুশি হওয়ার কোনো কারণ বুঝতে পারছি না। পাকিস্তানতো কখনও চেষ্টাও করে দেখায়নি! শুধু তাই নয় পাকিস্তানের স্বনামধন্য সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাক নেতাদের রীতিমত ভর্ৎসনাও করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে।