দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোরগের ডাকের কথা আমরা শুনেছি ছোট বেলায়। তখন ভোর বেলায় মানুষের ঘুম ভাংতো মোরগের ডাকে। ভোর হলেই কক ককার কক… করে ডাক দিতো মোরগ। তবে এই যুগে এসেও মোরগের ডাক! তা নিয়ে আবার আদালতে মামলা!
মোরগের ডাকের কথা আমরা শুনেছি ছোট বেলায়। তখন ভোর বেলায় মানুষের ঘুম ভাংতো মোরগের ডাকে। ভোর হলেই কক ককার কক… করে ডাক দিতো মোরগ। তবে এই যুগে এসেও মোরগের ডাক! তা নিয়ে আবার আদালতে মামলা! এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে এবার। এই মোরগের ডাকের জন্য শেষ পর্যন্ত মামলা করতে হয়েছে ফ্রান্সের এক দম্পতিকে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্সের আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী ওলেরন দ্বীপে নিয়মিত ছুটি কাটাতে যাওয়া এক অবসরপ্রাপ্ত দম্পতি মোরগের ডাক থামাতে শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করেন।
তবে তারা মামলা করে কোনো লাভ হয়নি। কারণ ফ্রান্সের মামলা করা ওই আদালত রায় দিয়েছে মরিস নামে ওই গলাবাজ মোরগের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। বিরক্ত প্রতিবেশীদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেছে যে, মোরগ মরিস যখন খুশি তখন গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে।
মামলায় এই দম্পতি তো সফল হননি, উল্টো আদালত তাদের ক্ষতিপূরণ এবং মামলা বাবদ ১ হাজার ডলারের বেশি খরচ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে! এই মামলাটি সাম্প্রতিক সময় ফ্রান্সে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
যে ব্যক্তিরা নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন এবং শহুরে ব্যস্ততা হতে কিছুটা শান্তির খোঁজে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করেন, তাদের সঙ্গে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখার পক্ষে যারা আছেন তাদের মধ্যে কয়েক দশকের একটা বিরোধকে মূলত সামনে তুলে এনেছে এই ‘মরিস মোরগের’ মামলাটি।
শুধু তাই নয়, মরিসের ভোরবেলা ডাকার অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে অন্তত পক্ষে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়।
উল্লেখ্য, যে বহু যুগ আগে ভোরে সেহরি খাওয়া থেকে শুরু করে ভোর বেলা অর্থাৎ সোবহে সাদিকের সময় নির্ধারণ করা যখন ঘড়ির খুব একটা প্রচলন ছিলো না বা গ্রামের মানুষ যখন ঘড়ি চিনতোই না তখন এই মোরগ ডাকার উপর নির্ভর করতো। মোরগ ডাকলেই মানুষ বুঝতো সোবহে সাদেকের সময় হয়েছে। তখন সেহরি খাওয়া শেষ করতো এবং ফজরের আযান দিতো মসজিদের মুয়াজ্জিমরা।