দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি ময়না পাখি মানুষের মতো কথা বলে। কিন্তু অন্যান্য পাখিরা যেভাবে কিচির মিচির করে কথা বলে তার আদিপ্রান্ত আমরা কিছুই বুঝতে পারি না। তবে এবার এমন এক গ্রামের খোঁজ পাওয়া গেছে যে গ্রামের সবাই পাখির ভাষায় কথা বলে।
আমরা জানি ময়না পাখি মানুষের মতো কথা বলে। কিন্তু অন্যান্য পাখিরা যেভাবে কিচির মিচির করে কথা বলে তার আদিপ্রান্ত আমরা কিছুই বুঝতে পারি না। তবে এবার এমন এক গ্রামের খোঁজ পাওয়া গেছে যে গ্রামের সবাই পাখির ভাষায় কথা বলে। ওই অঞ্চলের মানুষ পাখির মতোই কিচির মিচির শব্দে ভাবের আদান-প্রদান করে থাকেন। এমন কথা শুনে আপনার কেমন লাগবে বলুনতো? আপনি নিজেও বিস্মিত হবেন।
সত্যিই আশ্চর্য হতে হয় এমন কথা শুনে। মানুষ তাদের নিজের ভাষাকে বাদ দিয়ে পাখির ভাষায় কথা বলে এমন কথা আমরা আগে কখনও শুনিনি বা দেখিনি। তবে আজ এমনই একটি খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। যা দেখে আপনিও বিস্মিত হবেন। কারণ শুধু কথার কথা নয় বাস্তবতা উপলব্দির জন্য রয়েছে একটি ভিডিও। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেখানকার মানুষ সবাই পাখির ভাষায় অর্থাৎ পাখির মতো করে শিষ দিচ্ছে দিচ্ছে এবং সেভাবেই তাদের ভাবের আদান প্রদান করছে!
জানা গেছে যে, তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ নাকি পাখিদের মতো করে ভাবের আদান প্রদান করে! অর্থাৎ পাখির ভাষায় কথা বলে!
জানা যায়, বর্তমানে ভাষাটি বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ায় এই ভাষাকে উদযাপন করতে উৎসবেরও আয়োজন করা হচ্ছে। ইউনেসকো ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। সেই সংস্থাটি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, মোবাইলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ভাষাটি বিলুপ্ত হতে বসেছে।
জানা গেছে যে, কয়েক শতাব্দী পূর্বে তুরস্কের গিরেসান প্রদেশের একটি গ্রামের মানুষ এই ভাষাটি ব্যবহার করা শুরু করে। ওই গ্রামটির নাম কুসকয় (তুর্কিতে বলা হয় পাখির গ্রাম)।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই ভাষাটি যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য স্থানীয় স্কুলেও শেখানো হচ্ছে এই ভাষা! গিরেসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন অনুষদও এই ভাষাটিকে কোর্স হিসেবে গ্রহণ করেছে।