দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই মাঝে মধ্যেই কিছু মানুষ তার কিছু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন। যেমনটি করেছেন এই ব্যক্তি। তিনি জ্যান্ত একটি কুমির মাথায় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন!
সত্যিই মাঝে মধ্যেই কিছু মানুষ তার কিছু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন। যেমনটি করেছেন এই ব্যক্তি। তিনি জ্যান্ত একটি কুমির মাথায় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন!
ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির এক নাগরিক পল ব্যাডার্ড। বিভিন্ন জীবজন্তু উদ্ধার করাই তার এক নেশা। তাই তিনি ফ্লোরিডা মানব হিসেবে অধিক পরিচিত। সম্প্রতি খালিহাতে প্রায় ৯ ফুট লম্বা আকারের একটি কুমির ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন পল ব্যাডার্ড। কিছুদিন পূর্বে ফ্লোরিডার দক্ষিণাঞ্চলের পার্কল্যান্ড সুইমিং পুলে আটকা পড়ে এক কুমির ছানা। ওই কুমির ছানাকে যেনো কোনোভাবেই জালে ধরা যাচ্ছিলো না। তার মৃত্যু হতে পারে এই ভয়ে দেয়া হচ্ছিল না চেতনানাশক ওষুধ। অবশেষে সরীসৃপটিকে উদ্ধার করেন পল ব্যাডার্ড নিজেই। খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান এবং সোজা নেমে পড়েন সুইমিংপুলের স্বচ্ছ পানিতে। খোঁচা দিয়ে কুমিরটিকে তিনি উত্তেজিত করে তোলেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সুইমিংপুলের এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন ওই কুমিরটির সঙ্গে পল ব্যাডার্ড। ঘুরতে ঘুরতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে কুমিরছানাটি। এরপর সাহসে ভর করে টেপ দিয়ে কুমিরটির মুখ আটকে দেন পল। এরপর নিজের দুই হাতে শূন্যে তুলে ধরেন ভয়াল এই সরীসৃপটিকে। এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। বাচ্চা কুমির হলেও এটি আকারে প্রায় ৯ ফুট লম্বা। যেে কোনো সময় এটি আক্রমণ করতে পারতো পল ব্যাডার্ডকে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তবে পলের এই সাহসের প্রশংসাই করছে বেশিরভাগ মানুষ।
এই বিষয়ে নিজস্ব ইন্সটাগ্রাম পেজে পল ব্যাডার্ড বলেছেন, আমি পশুপাখি খুব ভালোবাসি। তাদের সঙ্গে খেলতেও খুব ভালোবাসি। সুইমিংপুলের পানি এতোই স্বচ্ছ ছিল যে, কুমিরটি কখন কোথায় যাচ্ছে আমি আগেই তা দেখতেও পাচ্ছিলাম। আর এভাবেই আমি কুমিরটিকে ওই সুইমিংপুল হতে উদ্ধার করেছি। আসলে কোনো কাজ করার জন্য মানুষের ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব।