দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের কোনো সেনাবাহিনী নেই। সেনাবাহিনী ছাড়াও বেশ ভালোভাবেই চলছে তাদের দেশগুলো। তেমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে পরিচিত হবো আজ।
বিশ্বজুড়ে এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের কোনো সেনাবাহিনী নেই। সেনাবাহিনী ছাড়াও বেশ ভালোভাবেই চলছে তাদের দেশগুলো। তেমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে পরিচিত হবো আজ।
লিস্টেনস্টাইন
লিস্টেনস্টাইন হলো মধ্য ইউরোপের দেশ। এই দেশটিতে সেনাবাহিনী নেই ১৮৬৮ সাল থেকে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর পেছনে আর কোনো অর্থ ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত থেকেই সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করা হয়েছিল দেশটিতে।
কোস্টারিকা
কোস্টারিকা মধ্য অ্যামেরিকার দেশ। ১৯৪৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বহু কারচুপি হয়েছিল। তাই নির্বাচন না মেনে বিদ্রোহিরা ক্ষমতা দখল করে নেয়। তারপর সেনাবাহিনী বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তারা। ১৯৫৩ সাল হতে এ পর্যন্ত মোট ১৪টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে এই দেশটিতে। সবগুলো নির্বাচনই হয়েছে শান্তিপূর্ণ ৷
সামোয়া
নিউজিল্যান্ড হতে ১৯৬২ সালে পৃথক হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে সামোয়া নামক দেশটি। তখন থেকেই তাদের কোনো সেনাবাহিনী নেই। নিউজিল্যান্ড বলেছিল যে, যেকোনো বিপদে তারা পাশে দাঁড়াবে। সেই ভরসায় সেনাবাহিনী আর দেশটিতে গড়ে ওঠেনি কখনও।
অ্যান্ডোরা
অ্যান্ডোরা ইউরোপের দেশ হিসেবে স্বাধীন ভূখণ্ড নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ১২৭৮ সালে। স্পেন ও ফ্রান্স আশ্বাস দিয়েছে, অ্যান্ডোরার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তারা এগিয়ে আসবে৷। বন্ধুরাষ্ট্রের আশ্বাসের কারণে সেনাবাহিনী গড়েনি ওঠেনি দেশতে আজও।
নাউরু
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ নাউরুর নিরাপত্তার দায়িত্ব সত্যিই নিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। যে কারণে দেশটিতে কোনো সেনাবাহিনী নেই। ২১ দশমিক ১০ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল ও ১০ হাজার অধিবাসীর এই দেশটিতেও তাই নেই কোনো সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী না থাকলেও দিব্বি চলে যাচ্ছে সবকিছু।
টুভালু, ভ্যাটিকান সিটি, গ্রানাডা
টুভালুর ক্ষেত্রফল হলো মাত্র ২৬ বর্গ কিলোমিটার৷ এখনেও সেনাবাহিনীর দরকার মনে করেনি এই দেশটির সরকার। ইতালির রাজধানী রোমের ভেতরে হলেও ভ্যাটিকান একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। দেশটির ক্ষেত্রফল মাত্র শূন্য দশমিক ৪৪ বর্গ কিলোমিটার। আবার ভ্যাটিকানেরও কোনো সেনাবাহিনী নেই। এছাড়াও ৩৬ বছর হলো গ্রানাডার নিয়মিত কোনো সেনাবাহিনীই নেই। একটি বড় ও ৬টি ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়া এই দেশটির ক্ষেত্রফল হলো ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার।