দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ২৫ কার্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের বৃহত্তম মসজিদ সুলায়মানি মসজিদ। এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
সুলায়মানি মসজিদ (তুর্কী- Süleymaniye Camii) তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের বৃহত্তম একটি মসজিদ। এটি ১৫৫০ হতে ১৫৫৭ সালের মধ্যবর্তী সময় নির্মিত করা হয়। এটি উসমানীয় স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি নিদর্শন।
রাজা প্রথম সুলাইমান এটি নির্মাণের আদেশ দেন ও তার নামেই এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের শৌর্য-বীর্যের প্রতীক হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিলো। ১৬শ শতকের প্রথমার্ধে সুলায়মানের অধীনে উসমানীয় সাম্রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে।
মূলত উসমানীয়রা ছিল মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতির লোক। তারা ১৪৫৩ সালে খ্রিস্টান নগরী কোন্সতান্তিনোপল দখল করে ও তারপর এর নাম বদলে ইস্তানবুল রাখে। তারা শহরটিকে একটি ইসলামী শক্তিকেন্দ্রে পরিণত করেন।
সুলায়মান তার সাম্রাজ্যের গৌরব প্রকাশার্থে শহরের কাছের পাহাড়ে একটি বিরাট মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন। মসজিদটির বিরাট গম্বুজ ও দীর্ঘ মিনারগুলি ইস্তানবুল শহরের যেকোন প্রান্ত হতেই দেখা যায়। উসমানীয় সাম্রাজ্যের শুরুর দিকের শ্রেষ্ঠ স্থপতি সিনান এই মসজিদটি নকশা করেছিলেন।
জানা যায়, এই সুলায়মানি মদজিদটি শুরুতে আরও বড় একটি ভবনব্যবস্থার কেন্দ্রীয় অংশ ছিল, যাতে মাদ্রাসা, গণরান্নাঘর বা ইমারত, হাসপাতাল ও গ্রন্থাগার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে ভবনব্যবস্থার অন্যান্য ভবনগুলি ওইসব কাজে ব্যবহৃত না হলেও মসজিদটি এখনও প্রার্থনার কাজেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মিনারের লাউডস্পিকারগুলি দিয়ে আযানের মাধ্যমে এখনও মুসল্লীদের নামাজ পড়ার আহ্বান জানানো হয়।
ছবি ও তথ্য: https://bn.wikipedia.org এর সৌজন্যে।