দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্প্যানিশ এয়ারলাইন ভুয়েলিংয়ের সভাপতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। মেসির বাড়ির উপর দিয়ে উড়োজাহাজ যেতে পারে না বলে তিনি এই শোরগোল ফেলেন! কিন্তু কেনো?
এক সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ এয়ারলাইন ভুয়েলিংয়ের সভাপতি হাভিয়ের সানচেজ বলেছেন, বার্সেলোনার বিমানবন্দরের আকার বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ হলো লিওনেল মেসির বাড়ির ওপর দিয়ে কখনও উড়োজাহাজ যেতে পারে না। এতে করে ক্ষেপে উঠেছে সবাই। মেসির জন্য এমন বাড়তি সমাদর কেনো করা হবে সেটা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। মেসির কারণে অন্যদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কেনো? সে আলোচনাও শুরু হয়েছে সব খানে।
বার্সেলোনার এল প্রাত বিমানবন্দর বাড়ানোর পরিকল্পনা করেও সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন এয়ারলাইন ভুয়েলিংয়ের সভাপতি হাভিয়ের সানচেজ। কথোপকথনের এক ফাঁকে সানচেজ বলে ফেলেন, ‘কারণ হলো উড়োজাহাজগুলোকে মেসির বাড়ির ওপর দিয়ে উড়তেই দেওয়া হয় না। যেটা বিশ্বের অন্য কোথাও কখনও ঘটেনি বা ঘটছে না।’
আর যাই কোথায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রবল ঝড় উঠেছে। এল প্রাত বিমানবন্দরে নামা উড়োজাহাজগুলো নাকি সরাসরি নামতে পারে না। নামার আগে তারা একটু ঘুরে ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে এসে তবেই ল্যান্ড করে। বার্সেলোনায় নামার ক্ষেত্রে তাই অনেক যাত্রী খেয়াল করেন যে তাদের বাহন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তারপর বিমানবন্দরে নামছে। আগে বিষয়টি কেও বুঝতে না পারলেও এতোদিন পর সবাই যখন জানলেন মেসির কারণেই এটা ঘটছে, তখন খেপে ওঠাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সকলের এমন ভোগান্তির কারণ যদিও মেসি নন। সানচেজ তথ্যটা আসলে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। মেসির বাড়ির ওপর দিয়ে প্রকৃতপক্ষেই উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ। তবে এর কারণ হলো মেসি থাকেন বার্সেলোনা হতে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্যাভাতে। এটি মূলত দেল গ্যারাফ ন্যাচারাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত। স্প্যানিশ সরকার এই অঞ্চলের বিপন্নপ্রায় প্রাণী এবং উদ্ভিদকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এই অঞ্চল দিয়ে বিমানের রুট দেওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। সে কারণেই এল প্রাত বিমানবন্দরে নামতে চাওয়া বিমানকে ঘুরপথেই নামতে হয়। আসলে এর সঙ্গে মেসির বাড়ির কোনোই সম্পর্ক নেই। কিন্তু বিষয়টি মানুষ প্রথমে অন্যভাবেই নিয়েছিলো। পরে অবশ্য বিষয়টি খোলাসা হওয়ার পর সবার কাছেই পরিষ্কার হয়েছে যে এর জন্য মেসি মোটেও দায়ি নন।