দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই ভাগ্য কখন, কাকে কোন দিকে নিয়ে যায় তা বলা মুশকিল। পঙ্গু হয়ে জন্ম নেওয়ায় বাবা-মা তাকে এক সময় ফেলে দিয়েছিলেন রাস্তায়। অবহেলার শিকার সেই পঙ্গু মেয়েটির এখন আয় ৫০ লাখ টাকা!
সত্যিই ভাগ্য কখন, কাকে কোন দিকে নিয়ে যায় তা বলা মুশকিল। পঙ্গু হয়ে জন্ম নেওয়ায় বাবা-মা তাকে এক সময় ফেলে দিয়েছিলেন রাস্তায়। অবহেলার শিকার হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা সেই মেয়েটির এখন আয় কতো জানেন? অবহেলার শিকার সেই পঙ্গু মেয়েটির এখন আয় ৫০ লাখ টাকা! এমন কথা শুনে যে কেও বিস্মিত হবেন সেটিই স্বাভাবিক।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায় যে, এই মেয়েটি পা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলো। তাই তাকে নিয়ে যেনো আফসোসের শেষ ছিল না তার বাবা-মায়ের। তাই মাত্র এক সপ্তাহ বয়সেই পঙ্গু মেয়েকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন তার নিষ্ঠুর বাবা-মা। তবে সেই মেয়েই একদিন বড় হয়ে সুপার মডেল হবে তা কী কেও জানতো? তবে পৃথিবীতে সব কিছুই সম্ভব। সৃষ্টিকর্তা কখন কাকে গরীব আর কখন কাকে ধনি করে তুলবেন তা সত্যিই বলা মুশকিল। এই মেয়েটির ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই। তাকে এখন আর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয় না, ভাগ্যের জোরে সে আজ লাখ লাখ টাকার মালিক।
২৩ বছর বয়সী এই সুপার মডেলের নাম হলো সেসর। দুই পা না থাকলেও ইচ্ছা ও মনোবলের জোরেই বর্তমানে তিনি হয়েছেন সুপার মডেল। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ইতিমধ্যেই চমকে দিয়েছেন পুরো বিশ্বকে।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, থাইল্যান্ডে এই পঙ্গু মেয়ে সেসরের জন্ম। জন্মগত ভাবেই শারীরিকভাবে পঙ্গু মেয়ের বাবা-মা তাকে জন্মের এক সপ্তাহ পরই একটি বুদ্ধ মন্দিরের পাশের রাস্তার ওপর ফেলে চলে যান।
তারপর শিশু সেসরের ঠিকানা হয় সেই অনাথ আশ্রমে। সেখান থেকেই তাকে দত্তক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান জিমি এবং মারিয়ান সেসর নামে এক দম্পতি। সন্তানস্নেহে বড় করে তোলেন বিকলাঙ্গ এই মেয়েটিকে।
আজ সেসর বিভিন্ন পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সুপরিচিত একজন মডেল। সেসর সংবাদ মাধ্যমকেজানিয়েছেন যে, শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই তার আয় মাসে ৬০ হাজার ডলার (৫০ লাখ টাকা) আয় করেন তিনি। এক কথায় বলতে গেলে তিনি এখন একজন প্রতিষ্ঠিত মডেলে পরিণত হয়েছেন।