দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ১৭২ বছর পর এক বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে চলেছে বিশ্ব। এই সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এই সময় সূর্যের চারিপাশে থাকবে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে ‘রিং অব ফায়ার’ বলছেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, দীর্ঘ ১৭২ বছর পর এক বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে চলেছে বিশ্ব। এই সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এই সময় সূর্যের চারিপাশে থাকবে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে ‘রিং অব ফায়ার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যগ্রহণের মতো এমন আশ্চর্যজনক মহাজাগতিক দৃশ্য চলবে আড়াই ঘণ্টা ধরে। এই সময় সূর্যের ৯০ শতাংশের বেশি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, যা পৃথিবীবাসী খালি চোখেই অবলোকন করতে পারবেন। ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকেও দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণটি। তবে এই দৃশ্যটি সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত হতে।
বৈজ্ঞানিকরা মনে করেন যে, এটি হবে ২০১৯ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ। এ বছরের ৬ জানুয়ারি এবং ২ জুলাই অন্য দুটি সূর্যগ্রহণ হয়। সেগুলো অবশ্য উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়নি।
বৈজ্ঞানিকরা বলছেন যে, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা হতে পরিচিতি পায় সূর্যগ্রহণ। চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, ঠিক তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে কিছু সময়ের জন্য সূর্য আংশিক কিংবা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়ে থাকে। তবে আমাবশ্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এই ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। পৃথিবীতে প্রতিবছর অন্তত ২ থেকে ৫টি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণে রূপ নিয়েছিলো।
এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন যে, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে হঠাৎ দিনের বেলা রাতের অন্ধকার নেমে আসে ও চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশে হঠাৎ একটা পরিবর্তনও আসে। তখন পাখিরা সন্ধ্যার আভাস পেয়ে ফিরে যেতে থাকে বনে, বাতাস স্থির হয়ে যায় ও হঠাৎ তাপমাত্রাও কমতে থাকে।
বৈজ্ঞানিকরা বলছেন যে, চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে সূর্যগ্রহণ বেশিবার হয়ে থাকে। প্রতি ৭টি গ্রহণের মধ্যে সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের অনুপাত ৫:২ বা ৪:৩। তবে অধিকাংশ সূর্যগ্রহণ সমুদ্রপৃষ্ঠে কিংবা পর্বতমালার ওপর দিয়ে গেলে সেটি আর নজড়ে পড়ে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।