দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি জীবিকার তাগিদে মানুষ দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়। আর তখন পেছনে পড়ে থাকে প্রিয়জনের ভালোবাসা। জীবনের এমন এক করুণ কাহিনী নিয়ে নির্মিত হলো ‘মাগো আমি বিদেশ যাবো’।
মানুষ অনেক সময় দেশান্তরি হতে বাধ্য হয়। আর তখন বুকের ভেতর কষ্ট চাপা দিয়ে ভাগ্য বদলাবে বলে চলতে থাকে অক্লান্ত পরিশ্রম। সেইসব মানুষরা পরিবারের দিন ফেরান; অবদান রাখেন সমাজ এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে।
বিদেশে সবার আড়ালে কেমন কাটতে থাকে সেইসব প্রবাসীদের জীবন, তাদের সেইসব অজানা গল্প ক’জনে জানতে পারে! প্রায় সময়ই খবরের শিরোনামে আসে অনেক দুর্ভাগ্যবান প্রবাসীদের কথা। যারা অসাধু ব্যক্তিদের খপ্পরে পড়ে বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই পড়ে যান মৃত্যুর হুমকিতেও, কেও কেও আবার লাশ হয়েও দেশে ফেরেন।
আর তাই প্রবাসীদের গল্পগুলো করুণ হয়ে ওঠে, হয় এক মর্মস্পর্শী। তেমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে খণ্ড নাটক ‘মাগো আমি বিদেশ যাবো’।
মো. সাইফুর রহমান কাজলের রচনা ও সাখাওয়াৎ মানিকের পরিচালনায় নাটকটি চিত্রায়িত হয়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে। এই নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম সরকার, মুনীরা মিঠু, পায়েলিয়া পায়েল, আজম খানসহ প্রমুখ।
এই নাটক সম্পর্কে পরিচালক মানিক জানিয়েছেন, এই নাটকের গল্পটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। আবির নামে এক যুবকের চরিত্রকে কেন্দ্র করেই এটি নির্মাণ করা হয়েছে। যে যুবক অত্যন্ত মেধাবী এবং সুশিক্ষিত হওয়ার পরেও বেকার জীবন যাপন করছিলেন। তার মা ও বোনকে নিয়ে একটা সুখী পরিবার ছিল তার।
তার জীবনে এসেছিল তরী নামে একটা মেয়ের ভালোবাসাও। তবে সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। একটা পর্যায়ে নাটকে দেখা যাবে তার মামা তার জন্য বিদেশ থেকে একটা ভিসা নিয়ে আসে। তখন তার হাতে মাত্র ১৫ দিনের মতো সময় ছিল। আবির মনে-প্রাণে দেশ ছেড়ে বিদেশ যেতে কখনও রাজি ছিল না। তবে একটা পর্যায়ে তার পরিবারের কথা চিন্তা করে আবির দেশ ছেড়ে বিদেশ যেতে বাধ্য হয়।
সাধারণত আমরা দেখি একটি ছেলে বিদেশ যাচ্ছে কিংবা প্রবাসী হচ্ছে। তবে কতখানি মায়া ত্যাগ করে সে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায় এবং তাতে তার কতখানি আবেগ মিশ্রিত থাকে সেটার উপরে আলোকপাত করতেই নাটকের কাহিনী এগিয়ে যাবে এবং একটা করুণ পরিণতি দিয়ে নাটকটির শেষ ঘটবে।।