দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের সম্প্রতি পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। হিন্দু-মুসলমান সবার মধ্যেই এই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন সৌরভ কন্যা। কী বলেছে সে?
কথা গুলো ঠিক এমন: ‘প্রতিটা ফ্যাসিস্ট সরকারের একটা দল কিংবা গোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। নিজেদের বেড়ে ওঠার জন্য তারা ওই দল কিংবা গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে তাদের শয়তানেও পরিণত করে।’ এই কথাগুলি ২০০৩ সালে প্রকাশিত খুশবন্ত সিংহের ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’ বইয়ের কিছু উদ্ধৃত অংশ। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কন্যা সানা গাঙ্গুলি গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে উদ্বৃতিগুলি পোস্ট করে নাগরিকত্ব আইনের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
সানা ইনস্টাগ্রামে ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’ বই থেকে যে অংশ তুলে ধরেছেন তা হলো, ‘প্রতিটি ফ্যাসিস্ট সরকারের একটা দল কিংবা গোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। নিজেদের বেড়ে ওঠার জন্য তারা ওই দল কিংবা গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে তাদের শয়তানেও পরিণত করে। দু-একটা দল দিয়েই এটা শুরু হয়। তবে সেটি কখনও সেখানে শেষ হয় না। ঘৃণার ওপর নির্ভর করে যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন নিজেকে ধরে রাখতে পারে অবিরাম একটা ভয় কিংবা দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি করে। আজকে যারা আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি, ভাবছি আমরা তো মুসলমান কিংবা খ্রিস্টান নই, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছি। সঙ্ঘ ইতিমধ্যে বামপন্থী ইতিহাসবিদ ও পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী যুবসমাজকেই টার্গেট করেছে। কাল তাদের ঘৃণা গিয়ে পড়বে স্কার্ট পরিহিত নারী, যারা মাংস খান, মদ্যপান করেন, বিদেশি সিনেমা দেখেন, বছর বছর তীর্থে যান না, দাঁতনের পরিবর্তে যারা টুথপেস্ট ব্যবহার করেন, আয়ুর্বেদিকের পরিবর্তে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ পছন্দ করেন, দেখা হলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার বদলে হাত মেলান কিংবা চুম্বন করেন, তাদের ওপর। কেওই নিরাপদ নয়। ভারতকে বাঁচাতে হলে এগুলোই আমাদের ভীষণভাবে অনুধাবন করতে হবে।’
সৌরভ কন্যা সানার এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যেভাবে খুশবন্তের লেখার মাধ্যমে সানা ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কেও কেও আবার সানার বয়সকে উল্লেখ করে লিখেছেন যে, রাজনীতি বোঝার জন্য আসলে বড়ই অল্প বয়স। সেখানেই অপর পক্ষ মনে করিয়ে দিয়েছে যে, ভারতে ভোট দেওয়ার বয়স কিন্তু ১৮।