দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত। অপরদিকে এই হত্যায় জড়িত থাকায় আরও ৩ জনকে মোট ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল (সোমবার) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত। অপরদিকে এই হত্যায় জড়িত থাকায় আরও ৩ জনকে মোট ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল (সোমবার) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর সন্দেহভাজন ১৫ জনকে সৌদি এজেন্ট হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তাদের নাম ও ছবিও প্রকাশ করা হয়। খাসোগি হত্যায় সন্দেহের তীর মূলত তাদের দিকেই ছিল। সাংবাদিক খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে তালাক সম্পর্কিত কাগজপত্র নেওয়ার জন্য। এরপরই খাশোগি তার তুর্কি বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে শোনা যায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ টুকরো টুকরো করে বাক্সবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। প্রথমে সৌদি আরব এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। খাশোগিকে খুনের অভিযোগ ওঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক চাপে পরে খুনের কথা সৌদি সরকার স্বীকার করলেও যুবরাজ নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।
তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিমান থেকে ৯ জন ব্যক্তি নেমে আসে। পরে আরেকটি বিমানে করে আরও ৬ জন আসে। তারা ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের কাছে দু’টি হোটেলে ওঠে। বিষয়গুলো প্রকাশ পাওয়ার পর সৌদি সরকার বেশ আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পড়ে। যে কারণে ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরে অভিযোগ দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তার পর শুরু হয় বিচার কার্য।
এই সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি ছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় লেখালেখি করায় যুবরাজ তার উপর রুষ্ঠ ছিলেন। সেই রুষ্ঠের শেষ পরিণতির শিকার হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যার পর তুরস্কসহ সারা বিশ্বের মানুষ নিন্দা প্রতিবাদ করতে থাকে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি সরকার ওইসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।