দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বড়দিন উপলক্ষে নানা উপহার দেওয়ার কথা শোনা যায়। তবে এবার যে উপহার দেওয়া হয়েছে সেটি একটু ব্যতিক্রমি উপহার। বড়দিনে উপহার ‘গ্র্যান্ডফাদার এক্সপ্রেস’!
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, ডগ হেইস নামে জনৈক ভদ্রলোক বড়দিন উপলক্ষে তার ১০ নাতি নাতনিদের জন্য একটি হলুদ বাস উপহার দিয়েছেন। নাতি-নাতনিরা যাতে স্কুলে প্রতিদিন সকালে নিজস্ব বাসে করে যাতায়াত করতে পারে তাই তিনি তাদের এই চমক দেখিয়েছেন! উপহার দেওয়া ছোট্ট ওই হলুদ রঙের বাসটির নেমপ্লেট দেওয়া হয়েছে ‘গ্র্যান্ডফাদার এক্সপ্রেস’।
সিএনএন এর এক তথ্য মতে, হেইস নামে ওই ব্যক্তি তার নাতি-নাতনিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে বসবাস করেন। এই বিষয়ে হেইস বলেন, তার নাতি-নাতনিরা যখন বাসটি দেখেছে তখন তারা পরমভাবে আনন্দ উপভোগ করছিলো।
জানা গেছে, হেইসের ১০ নাতি নাতনিদের মধ্যে ৫ জন পইদিয়া ক্লাসিক্যাল ক্রিশ্চিয়ান বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। আর বাকি ৫ জনের এখনও বিদ্যালয়ে পড়ার মতো বয়স হয়নি। তবে আগামী বছর আরও দুই জনকে ওই স্কুলে ভর্তি করানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হেইস আরও জানিয়েছেন, আমার বাড়ি থেকে নাতি-নাতনিদের স্কুল প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে। বাসে করে যেতে সেখানে প্রায় ২০ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। তাই তাদের জন্য আমি ও আমার স্ত্রী মিলে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। তাছাড়া তাদের স্কুুল শেষে আমরা গাড়িটি নিয়ে আমাদের কাজের উদ্যেশ্যেও বাহিরে নিয়ে যেতে পারবো।
হেইস তার স্ত্রী অ্যামিকে তার জীবনের কোন বড় লক্ষ রয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে স্ত্রী একপর্যায়ে বলেন, সকালে নাতি-নাতনিদের স্কুলে যাওয়ার জন্য একটি বাস সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটিই ছিল হেইসের স্ত্রীর স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম স্বপ্ন।
তারপর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমার স্ত্রী অ্যামি আমাকে চাপ দিতে থাকলে আমি তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রায় ১ মাস খোঁজাখুজি করে এই বাসটির সন্ধান পেয়েছি। ওই বাসটির প্রত্যেকটি আসনেই নিরাপত্তার জন্যে রয়েছে সিটবেল্ট। শিশুদের জন্য উপযুক্ত করেই এই বাসটি বানানো হয়েছে।
প্রতিদিন সকালে নাতি নাতনিদের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটাতে বাসটি তাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানিয়েছেন হেইস।
বড়দিন উপলক্ষে হেইস তার নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাসটির সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এতে করে তার নাতি-নাতনিরা বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। সেই সময় তাদের দাদুও খুব আনন্দিত ছিলেন।