দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্যাশন প্রিয় তরুণ-তরুণীদের চুলে রঙ এখন যেনো এক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কালো চুল দেখতে ভালো হলেও চুল রঙ করা তাদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চুল রঙ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে ক্যান্সারও হতে পারে!
চুলে রং করে তরুণ-তরুণীরা মনে মনে করেন তারা খুব ভালো কাজ করে ফেলেছেন। কিন্তু এতে যে তাদের স্বাস্থ্যগত মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে কারও খেয়াল নেই। তারপরও প্রতিনিয়ত চুল রঙ করে চলেছেন অনেকেই।
তবে চুল রঙ করা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। যদি চুলে রঙ করতেই হয়, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য করা যেতে পারে। যে রঙগুলো এক বা দুবার শ্যাম্পু করার পরই চলে যাবে কেবল মাত্র সেই রং করা যেতে পারে।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, চুলের রঙের মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তারা বলেছেন যে, প্যারাবেন, অ্যামোনিয়ার মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো থাকে হেয়ার ডাই এ। তবে এসব সংস্থা সবসময় বলে আসছে যে– এই রাসায়নিকগুলো কম মাত্রায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাধারণ তিন রকমের চুলের রঙ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় অস্থায়ী চুলের রঙ। এই রঙগুলো বেশি দিন থাকেও না। এক থেকে দুবার শ্যাম্পু করার পরই চলে যায়। তবে অস্থায়ী চুলের রঙ কিছুটা হলেও নিরাপদ। কারণ হলো এতে রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু যে হেয়ার চুলের রঙ বেশি দিন থাকে সেগুলো প্রধানত ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।
সাধারণ রঙ এক মাসেরও বেশি দিন পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। স্থায়ী চুলের রঙ বেশি ক্ষতিকর। যারমধ্যে রাসায়নিক বেশি মেশানো থাকে, যার থেকে শরীরে শুরু হয় বিভিন্ন রকমের উপসর্গ।
এই সব সমস্যার মধ্যে চুল ঝরে যাওয়া, মাথার ত্বকে অ্যালার্জি, গলা এবং ফুসফুসের সমস্যা, চোখের সমস্যার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, খুব বেশি রঙ ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়। ব্যবহার করলেও অস্থায়ী রঙ ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক চুলের রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের রঙ ব্যবহার করার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। নইলে যিনি চুলে রং করেন তারও ক্ষতি হতে পারে।