দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কী বার ছিলো? মঙ্গলবার। ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কী বার? বুধবার। এভাবে একের পর এক তারিখে কী বার তা বলে যাচ্ছিলেন তাইফ আহমেদ নামে ২৫ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও এভাবে সারাবিশ্বের রাষ্ট্র এবং রাজধানীর নামও বলে যায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের আশরাফ আলীর সন্তান। তাইফ আহমেদ ২৫ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও তার নেই। তবে ১৯০০ থেকে ২০৯৯ সাল পর্যন্ত ২০০ বছরের মধ্যে যে কোনো তারিখে কী বার তা বলে দিতে পারেন এক মুহূর্তের মধ্যেই! এ সময়ের মধ্যে কোন মাসের নির্ধারিত বারে কত তারিখ তাও বলে দিতে পারেন দ্রুততার সঙ্গে। সাধারণ জ্ঞান ও টেকনোলজিতেও রয়েছে তার বিশেষ দক্ষতা। তাই এলাকার মানুষ তাকে বলে থাকেন ‘জীবন্ত ক্যালেন্ডার’!
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তাইফ আহমেদ বলেন, তিনি নিজেই একটি গাণিতিক সূত্র আবিষ্কার করেছেন। যে সূত্র অনুযায়ী সেই মুহূর্তেই দিন-তারিখ বলে দিতে পারেন। কাজের স্বীকৃতির জন্য তার উদ্ভাবিত সূত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান বলেও জানায় সে। তবে রাষ্ট্র এবং রাজধানীর নাম তিনি ধীরে ধীরে আত্মস্ত করেছেন বলে তাইফ দাবি করেছেন।
তাইফের মা আছমা খাতুন বলছিলেন, ছোট হতেই অন্য শিশুদের মতো করে আচরণ করতো না তাইফ। সেজন্য তাকে নেওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের মতে, সে জন্মগতভাবেই অস্বাভাবিক ছিলো। তারপর তাকে বাড়িতে রেখেই লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এক সময় তার বিশেষ কিছু কাজ পরিবার এবং এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময় সৃষ্টি করে। তার মধ্যে যে কোনো মোবাইল নম্বর এক-দুবার শুনলেই তার মুখস্ত হয়ে যায়। মোবাইল, টিভি এবং কম্পিউটারের ছোটখাটো কাজ এবং সমস্যার সমাধান করতে শিখে ফেলে সে।
তাইফ সম্পর্কে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তাইফের প্রতিভা দেখে এলাকার লোকজন বেশ আশ্চর্য হতেন। এক সময় তার পরিচিতি আরও বাড়তে থাকে। এখন তাকে এলাকার গর্ব বলেও মনে করেন অনেকেই। তাইফ যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন, সেজন্য ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তার পরিবারবর্গ। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার উন্নত চিকিৎসাও করাতে পারেননি তার পরিবার। সেজন্য সরকার ও বৃত্তবানদের কাছে ছেলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার আবেদন ওজানিয়েছেন তাইফের মা আছমা খাতুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক উপরের নিয়মে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।