দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা নিয়ে পুরো বিশ্ব এখন আতঙ্কগ্রস্থ। প্রাণঘাতি এই করোনা মানুষকে ঘরবন্দি করে রেখেছে। যেখানে টাকা ও ক্ষমতার কোনোই দাপট নেই।
‘লোকে বলে, ‘আই অ্যাম সুপ্রিম! আমার অনেক টাকা রয়েছে!’ এ সব টাকা, ক্ষমতা কিচ্ছুই না, বুঝিয়ে দিলো এই করোনা, এই নববর্ষ।’ করোনায় আক্রান্ত নববর্ষের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ঠিক এভাবেই বলেছেন কোলকাতার জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কোলকাতার প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমরা কেওই ভাবিনি, কোনো দিন এই রকম পয়লা বৈশাখ কাটাতে হবে। শুধু বাঙালি হিসেবে নয়, সারা বিশ্ব এই করোনার ত্রাসে কেঁপে উঠেছে। যাকে বলে, না দেখা, না চেনা ‘বায়োলজিক্যাল ওয়ার’। কী ভয়ানক এক যুদ্ধ! এই যুদ্ধে আমি আমার শত্রুকেও চিনি না’
প্রসেনজিৎ আরও বলেন, ‘দু’জন রয়েছেন- এক জন ঈশ্বর, এক জন প্রকৃতি। হয়তো তারাই পারবেন কিছু করতে। সারা বিশ্বের মানুষ এখন ঈশ্বরকেই ডাকছেন। অনেক সময় দিতে পারছি আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য। প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাও বেড়ে গিয়েছে আমাদের।’
করোনা প্রাকৃতিক আহবান দাবি করে এ নায়ক আরও বলেন, ‘আমি কাওকে দোষ দিচ্ছি না, আসলে পৃথিবীটা মেকানিক্যাল হয়ে গিয়েছিল। মানুষও সেই রকমভাবে জীবন কাটাচ্ছিল। এটাই আসলে বাস্তব।
পাশের মানুষটা পাশের ঘরে থাকলেও উঠে গিয়ে কথা বলি না। হোয়াটসঅ্যাপ করি। তো সেই চিঠির গন্ধ পাই না! চিঠি আসার অপেক্ষাও আমাদের নেই। লকডাউনের পরবর্তী জীবন হয়তো এইসবগুলো থেকে আমাদের সরিয়ে আনবে।’
এবারের বৈশাখ নিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আজ সত্যিই নতুন জামার গন্ধ নেই। আনন্দের হাসিও নেই। হাসির রোল নেই আমাদের শহরে। পাঞ্জাবি ও শাড়িরাও আজ গৃহবন্দি।
রয়েছে তো কেবল বৈশাখের হাওয়া, যা বলে যাচ্ছে হয়তো পরের বৈশাখে বাঙালি নববর্ষকে বদলে যাওয়া জীবনের আলোয় আবারও সাজিয়ে তুলবে।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।